—প্রতীকী ছবি।
ডলারের নিরিখে আরও নেমে নতুন তলানিতে টাকার দাম। শেয়ার বাজার অবশ্য টানা পাঁচ দিন বেড়ে ফের ঢুকে পড়েছে ৬৬ হাজারের ঘরে।
বুধবারই আমেরিকার মুদ্রার নিরিখে টাকা নজিরবিহীন নীচে নেমেছিল। বৃহস্পতিবার ১ ডলারের দাম আরও ১০ পয়সা বেড়ে এই প্রথম ৮৩.২৩ টাকা হয়েছে। যা নতুন নজির। গত সোমবার থেকে আমেরিকার মুদ্রা এই নিয়ে মোট ৬১ পয়সা বাড়ল। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি, শেয়ার বাজার থেকে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থার পুঁজি প্রত্যাহার এর অন্যতম কারণ। গত চার দিনে বাজার থেকে নিট ৯০৯৭.১৯ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে তারা। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আগে টাকার এই পতন অস্বস্তিকর।
১-৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারতীয় মুদ্রা নিয়ে ৪৫ জন অর্থনীতিবিদের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়েছিল রয়টার্স। অধিকাংশই বলেছেন, নভেম্বরের মধ্যে টাকার দামের সামান্য উন্নতি হলেও ডলারের নিরিখে তা থাকবে ৮২.৭৫-৮২.৮৮ টাকার মধ্যে। তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক টাকার আরও পতন রুখতে হস্তক্ষেপ শুরু করেছে। গত মাসে বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার থেকে বাজারে ছেড়েছে ১৪০০ কোটি ডলার। যাতে তার জোগান বেড়ে দাম কমে। শক্তি ফিরে পায় টাকা। আগামী বছর আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডেরাল রিজ়ার্ভ সুদ কমালে ফের টাকার দাম বাড়তে পারে।
এ দিন ৩৮৫.০৪ পয়েন্ট বেড়ে সেনসেক্স ৬৬,২৬৫.৫৬ অঙ্কে পৌঁছেছে। নিফ্টি ১১৬ বেড়ে হয়েছে ১৯,৭২৭.০৫। বাজার বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দীর বক্তব্য, অর্থনীতির বিভিন্ন শক্তিশালী মাপকাঠির উপরে ভিত্তি করেই সূচক এগোচ্ছে।