১২৪টি জেলায় আপাতত ৪৬০টি সিএনজি স্টেশন তৈরি করেছে আদানি টোটাল গ্যাস। —ফাইল চিত্র।
দূষণ ও আমদানি খরচ কমাতে জ্বালানি হিসেবে তেলের বদলে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে ভারত। সেই উদ্দেশ্যে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি সংস্থাকে পরিবহণ জ্বালানি (সিএনজি) এবং হোটেল-রেস্তরাঁ-গৃহস্থের রান্নার জ্বালানি (পিএনজি) হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের লাইসেন্স দিয়েছে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রক পিএনজিআরবি। সারা দেশের ১২৪টি জেলায় সেই প্রকল্পের বরাত জিতে কিছু জায়গায় তার পরিকাঠামো নির্মাণ এবং গ্যাস বণ্টন শুরু করেছে আদানি টোটাল গ্যাস। আদানি গোষ্ঠী ও ফরাসি সংস্থা টোটাল এনার্জিসের যৌথ উদ্যোগে তৈরি সংস্থাটি জানিয়েছে, এই ক্ষেত্রে আগামী ৮-১০ বছরে ১৮-২০ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করবে তারা।
ওই ১২৪টি জেলায় আপাতত ৪৬০টি সিএনজি স্টেশন তৈরি করেছে আদানি টোটাল গ্যাস। পিএনজি জোগানো শুরু হয়েছে সাত লক্ষ গ্রাহককে। বার্ষিক প্রতিবেদনে সংস্থার সিএফও পরাগ পারিখ জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে অতিরিক্ত পরিকাঠামো গড়তে ১১৫০ কোটি টাকারও বেশি লগ্নি করেছেন তাঁরা। স্বচ্ছ জ্বালানি হিসেবে এই ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সম্ভাবনার বিষয়ে তাঁরা আশাবাদী। পারিখ বলেন, ‘‘গ্রাহক বাড়াতে ও আয়ের ধারাবহিকতা বজায় রাখতে আমরা ৮-১০ বছরে আরও ১৮-২০ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করতে আগ্রহী।’’ সংস্থার সিইও সুরেশ পি মঙ্গলানির কথায়, ‘‘আগামী ৭-১০ বছরে ১৮০০টিরও বেশি সিএনজি স্টেশন তৈরি হবে।’’