প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রের চিন্তা বাড়িয়ে লকডাউন শুরুর আগেই জিএসটি থেকে আয় কমতে শুরু করল। বুধবার কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, মার্চে ওই আয় দাঁড়িয়েছে ৯৭,৫৯৭ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারির লেনদেনের ভিত্তিতে যা মিটিয়েছেন শিল্পপতি, ব্যবসায়ীরা। নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি, চার মাস আয় ছিল ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি।
ফেব্রুয়ারিতে লকডাউন ছিল না। তবু জিএসটি আদায় এত কমল কেন? অর্থ মন্ত্রকের কর্তা ও কর বিশেষজ্ঞদের অনুমান, করোনা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ব্যবসায়ীদের নগদে টান পড়েছে। অনেকেই সেই সময়ে কর মেটাননি। এর পরে লকডাউন শুরু হওয়ায় একাংশ রিটার্ন বা কর জমা দিতে পারেননি।
মার্চে জিএসটি আদায় এত কমলে, এপ্রিল, মে মাসে তা কোথায় নামবে তা ভেবে শিউরে উঠছেন অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা। কারণ, লকডাউনে মার্চের প্রায় এক সপ্তাহ ও এপ্রিলের দু’সপ্তাহ ব্যবসা কার্যত বন্ধ।
সব রাজ্যেই জিএসটি থেকে আয় কমেছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে আগের মার্চ থেকে তা ৭% কমে হয়েছে ৩৮৪১ কোটি টাকা। কেন্দ্র, রাজ্য মিলিয়ে আদায় ৮.৪% কম। দেশে বেচাকেনা থেকে জিএসটি আয় কমেছে ৪%। করোনার জেরে আমদানি থেকে কমেছে প্রায় ২৩%। উদ্বেগ তৈরি হয়েছে রাজকোষ ঘাটতির বেলাগাম হওয়া নিয়ে।