—ছবি সংগৃহীত
লকডাউনে মুখ থুবড়ে পড়া ব্যবসা টেনে তুলতে মরিয়া খুচরো বিক্রেতারা। উৎসবের মরসুমে কিছুটা ছন্দে ফেরার লক্ষণও দেখা গিয়েছে। কিন্তু এতে উৎসাহিত হতে নারাজ তাঁরা। বরং নতুন বছরে সতর্কতার সঙ্গেই চলতে চায় তাঁদের সংগঠন রিটেলার্স অ্যাসেসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (রাই)। বিক্রিতে গতি আনতে প্রথাগত রাস্তার বাইরে হাঁটা এবং সরকারি সাহায্যের দাবি করেছে তারা।
সোমবার সংগঠনের প্রকাশিত দশম রিটেল বিজ়নেস সার্ভে অনুসারে, গত বছরের নভেম্বরের চেয়ে এ বার বিক্রি কমেছে ১৩%। তবে এর মধ্যেই সুখবর বয়ে এনেছে দীর্ঘ মেয়াদি ভোগ্যপণ্য এবং বৈদ্যুতিন পণ্য। যার বিক্রি বেড়েছে ১২%। খাদ্য এবং মুদিপণ্যের ক্ষেত্রে ৫%। তবে চিন্তায় রেখেছে পোশাক, যা কমেছে ১২%। সেই সঙ্গে দেশের নানা প্রান্তে ধাপে ধাপে লকডাউন ওঠার প্রভাব পড়েছে বিক্রিতে। উত্তর এবং দক্ষিণে নভেম্বরে তা ৯% কমেছে, সেখানেই পূর্ব ও পশ্চিমে যথাক্রমে ১৭% এবং ১৮%।
রাই-এর সিইও কুমার রাজাগোপালনের মতে, উৎসব এবং বিয়ের মরসুমে কিছু পণ্যের বিক্রি বেড়েছে। কিন্তু অন্যবারে শীতের সময়ে যে ভাবে বিপুল সংখ্য অনাবাসী ভারতীয়ের দেশে ফেরা বিক্রি বাড়াতে সাহায্য করে, তা এ বার অনুপস্থিত। তার উপরে করোনার নতুন স্ট্রেন ধরা পড়ার পরে ব্রিটেনের মতো দেশ থেকে আসায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে ভবিষ্যৎ ঘিরে আশা করলেও, ক’মাস সতর্ক থাকতে চান তাঁরা। কুমারের মতে, সে ক্ষেত্রে বিক্রি করোনার আগের জায়গায় ফিরতে আরও ছ’মাস লাগতে পারে।