প্রতীকী ছবি।
কোভিড হানার পরে দু’বছরের আঁধার পেরিয়ে এ বার ইনিংসের শুরুটা ভালই হয়েছে। দেওয়ালি পর্যন্ত উৎসবের বাকি মরসুমেও ভাল ব্যবসার আশায় দিন গুনছে খুচরো ব্যবসা, ভোগ্যপণ্য-সহ সার্বিক ব্যবসায়ী মহল।
খুচরো ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (আরএআই) সেপ্টেম্বরে কেনাকাটার সমীক্ষা বলছে, দেশে খুচরো ব্যবসা ২০১৯ সালের ওই মাসের তুলনায় ২১% বেড়েছে। অর্থাৎ, প্রাক-করোনা পর্বকে ছাপিয়ে গিয়েছে উৎসবের মরসুমে শুরুর দিকের ব্যবসা। দক্ষিণ ভারতে তার বৃদ্ধির হার ছিল সর্বোচ্চ, ২৩%। পূর্বাঞ্চলে ২০১৯ সালের চেয়ে ১৭% বেশি। আর গত বছরের সেপ্টেম্বরের সঙ্গে এ বারের বিক্রির তুলনা করলে, গোটা দেশে বৃদ্ধির হার প্রায় ১৭%।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অতিমারির আগের তুলনায় এ বছরের সেপ্টেম্বরে খুচরো ব্যবসার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে খাবার ও মুদি পণ্যের ব্যবসা। এর হার ৫৬%। দ্রুত খাবার মেলে, এমন রেস্তরাঁ ব্যবসার (কুইক সার্ভিস রেস্তারাঁ) বৃদ্ধির হার ছিল ৪৮%। ক্রীড়া সরঞ্জাম, ভোগ্যপণ্য, জুতো, বস্ত্র ও পোশাক— সব ক্ষেত্রেই ব্যবসা করোনার আগের সময়ের থেকেও উল্লেখযোগ্য বেড়েছে। প্রসাধনী ও গয়নার ব্যবসায় বৃদ্ধি কিছুটা কম।
আরএআইয়ের সিইও কুমার রাজাগোপালনের বক্তব্য, এ বার কেনাকাটা করা বা আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করায় কোনও বাধা ছিল না। ফলে সব ধরনের পণ্যের ব্যবসাতেই বৃদ্ধির ছবি স্পষ্ট। তাঁদের দাবি, মানুষ শুধু নিজের জন্য নয়, প্রিয়জনদের উপহার দেওয়ার জন্যও দোকান-বাজারে ভিড় করেছেন অনেকে। তাই উৎসবের সূচনাতেই ফিরেছে সেই চেনা আমেজ।
উৎসবের মরসুমের বাকি সময়টাতেও গোড়ার এই ধারা পণ্য ও পরিষেবার ব্যবসায় বজায় থাকবে, আশাবাদী ব্যবসায়ীদের আর এক সংগঠন সিএআইটি। তাদের ধারণা, গোটা মরসুমে বাজারে প্রায় ২.৫০ লক্ষ কোটি টাকার পুঁজি ঢুকবে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ খণ্ডেলওয়ালের মতে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা আরও ৪% মহার্ঘ ভাতা পাবেন। উৎপাদন ভিত্তিক ৭৮ দিনের বোনাস পাবেন রেল কর্মীদের একাংশ। এই দু’টি সরকারি সিদ্ধান্ত বাজারে কেনাকাটা বাড়াতে অনুঘটক হিসাবে কাজ করবে।
ভোগ্যপণ্যের সংস্থাগুলির সংগঠন সিইএএমএ-র প্রেসিডেন্ট এরিক ব্র্যাগেনজ়া জানান, উৎসবের মরসুমে পণ্য বিক্রি ৮-১০% হারে বাড়বে বলে তাঁদের আশা। ব্যবসা বৃদ্ধির হার ছুঁতে পারে ২৫-৩০%।