প্রতীকী ছবি।
ই-কমার্স সংস্থার হাত ধরে বেড়ে চলা নেট বাজার পাড়ার মুদির দোকান তো বটেই, মলের খুচরো বিপণিতে কতটা প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে চর্চা যথেষ্ট। তাতে আরও ইন্ধন জুগিয়েছে অতিমারি রুখতে জারি হওয়া বিভিন্ন বিধিনিষেধ। এই দুই কারণেই বদলে যাওয়া পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাধারণ বিপণির ব্যবসার পদ্ধতিতে বদল আনা জরুরি বলে শনিবার বণিকসভা ইন্ডিয়ান চেম্বারের সভায় বার্তা দিলেন এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কর্তাদের একাংশ। গত এক বছরে সে পথে হেঁটে সাফল্য মিলেছে বলেও দাবি তাঁদের।
অ্যামাজ়ন, ফ্লিপকার্টের মতো বহুজাতিক নেট বাজারের পাশাপাশি দেশে ক্রমশ বাড়ছে ভারতীয় ই-কমার্স সংস্থাগুলির ব্যবসা। বণিকসভাটির খুচরো ব্যবসা সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান নমিত বাজোরিয়া যদিও এ দিন মনে করান, আমেরিকার মতো দেশে এখনও নেট বাজারের অংশীদারি মাত্র ১৮%। বাকিটা সাধারণ বিপণির হাতেই। শপার্স স্টপের এমডি-সিইও বেণু নায়ারেও দাবি, সাধারণ বিপণির গতি নেট বাজার কমাতে পারবে না। তাঁর বক্তব্য, দেশের ৭১% খুচরো ব্যবসা অসংগঠিত। ই-কমার্স তাদের সংগঠিত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে। যার হাত ধরে অফলাইন ব্যবসারই সার্বিক পরিধি বাড়ছে।
নায়ারের মতোই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার কথা বলেন স্পেন্সার্স রিটেলের ভিপি হর্ষবর্ধন চৌহান, টার্টলের চেয়ারম্যান সঞ্জয় ঝুনঝুনওয়ালা, ওয়াও মোমো-র সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাগর জে দরিয়ানি প্রমুখ। বেণু এবং হর্ষবর্ধন জোর দেন ক্রেতার কাছে পৌঁছতে প্রযুক্তি ব্যবহারের উপরে। তাঁদের কথায়, যা হল ‘ফিজ়িটাল’, অর্থাৎ সাধারণ বিপণির সঙ্গে ডিজিটালের মিশ্রণ। সেই সঙ্গে বাড়ি থেকে কাজের চাহিদা বুঝে নতুন ধরনের পোশাক আনায় সাফল্য এসেছে, দাবি সঞ্জয়ের। ভোগ্যপণ্য সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে পণ্য পৌঁছনোর ব্যবসায় পা রাখার পদক্ষেপে বরাত এক বছরে সাড়ে ছ’গুণ বেড়েছে বলে জানান সাগর। ব্যবসার চাকা ঘোরাতে দ্রুত টিকাকরণেও জোর দেন তাঁরা।