—প্রতীকী চিত্র।
ভোটের আগে চালের দাম ঘুম কেড়েছে মোদী সরকারের। জোগান বাড়িয়ে দাম কমাতে গত মাস থেকেই বাসমতি বাদে বাকি সব সাদা চাল রফতানিতে বসানো হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। গত সপ্তাহে সেদ্ধ চালের রফতানিতেও চেপেছে ২০% শুল্ক। এ বার কৃষি এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রফতানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এপিইডিএ) জন্য নতুন নির্দেশ জারি করে কেন্দ্র জানাল, বাসমতি চালের নাম করে অন্য সাদা চাল বেআইনি ভাবে বিদেশে চালানের অভিযোগ উঠেছে। তা আটকাতে বাড়তি সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
নির্দেশে এপিইডিএ-কে শুধু টনে ১২০০ ডলার (প্রায় ৯৮,৪০০ টাকা) বা তার বেশি মূল্যের বাসমতি চাল রফতানির বরাত নথিভুক্ত করতে বলেছে কেন্দ্র। যাতে শুধু এগুলিই রফতানির জন্য দেশ ছাড়ার সার্টিফিকেট (আরএসি) পায়। সে ক্ষেত্রে যে সব বাসমতির বরাত-চুক্তির মূল্য টনে ১২০০ ডলারের কম হবে, সেগুলিকে স্থগিত রাখা হতে পারে। সরকারি বিবৃতি বলেছে, কম দামিগুলির মূল্যায়নের জন্য কমিটি গড়বেন এপিইডিএ-র চেয়ারম্যান। বিভিন্ন ধরনের দাম ও তার আড়ালে বাসমতির নাম নিয়ে অন্যান্য সাদা চাল রফতানি হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখবে তারা।
অভিযোগ উঠেছে, এই কম দামি বাসমতি চালের বস্তাতেই দেশ থেকে বার করে দেওয়া হচ্ছে সাধারণ সাদা চাল। তাই কমিটিকে এক মাসের মধ্যে বিষয়টি যাচাই করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তার পরে কম দামি বাসমতির রফতানি নিয়ে শিল্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, রবিবার কেন্দ্রের নির্দেশের পরে ভারতের সব রকম চালের রফতানিই নিয়ন্ত্রিত হয়ে গেল।