RBI

রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক উদ্বিগ্ন শেয়ার বাজার নিয়েও

আর্থিক স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত রিপোর্টেও প্রকাশ পেয়েছিল দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে অনুৎপাদক সম্পদ বৃদ্ধির আশঙ্কা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:৪৬
Share:

—ফাইল চিত্র

একের পর এক রেকর্ড ভেঙে ছুটছে শেয়ার বাজার। মার্চে যে সেনসেক্স ৪০% তলিয়ে গিয়ে ২৫ হাজারে ঠেকেছিল, তা-ই পরের মাসগুলিতে বেড়েছে প্রায় ৮০%। সোমবারও ৪৯ হাজারের গণ্ডি তা রেকর্ড গড়েছে। আর এ দিনই বাজারের এমন টানা উত্থান নিয়ে সতর্ক করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক।

Advertisement

আর্থিক স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত ষান্মাসিক রিপোর্টের মুখবন্ধে গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছেন, ভারত-সহ সারা বিশ্বেই আর্থিক বাজারের গতিপ্রকৃতি এবং অর্থনীতির বাস্তব অবস্থার মধ্যে কোনও যোগাযোগ নেই। বিবর্ণ অর্থনীতি সত্ত্বেও শেয়ার বাজারের নজিরবিহীন দৌড় দেখে যে কথা গত কয়েক মাস ধরেই বলছেন বিশেষজ্ঞেরা। শক্তিকান্তের ধারণা, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাজার যে উচ্চতা ছুঁয়েছে, তা উল্টে নড়বড়ে করে দিতে পারে দেশের আর্থিক ভিতকে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এর আগেও শেয়ার বাজার নিয়ে সতর্ক করেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। কিন্তু এ বারের মতো দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে তাকে জুড়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেনি।

করোনার জেরে তৈরি হওয়া আর্থিক সঙ্কট সামলাতে কেন্দ্র যে ভাবে নাগাড়ে ঋণ নিচ্ছে, তা নিয়েও এ দিন রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। তাদের আশঙ্কা, এতে বেসরকারি ক্ষেত্রের ঋণ পাওয়ার পথ যেমন সংকীর্ণ হতে পারে, তেমনই সমস্যায় পড়তে পারে ব্যাঙ্কিং শিল্প।

Advertisement

সতর্কবার্তা


• অনেক ক্ষেত্রে অর্থনীতিকে উপেক্ষা করেই বাড়ছে বাজার। যা আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে চিন্তা বাড়াচ্ছে।
• সমস্যা তৈরি করতে পারে অতিরিক্ত সরকারি ঋণও। এর ফলে ধাক্কা খেতে পারে বেসরকারি ক্ষেত্রের নগদ জোগান।
• করোনার কারণে চাপ বাড়ছে ব্যাঙ্কের হিসেবের খাতায়। কমছে পুঁজি। ফলে এখনই তার জোগাড় না-করলে মুশকিল।
• অতিমারির সময়ে
দেওয়া সুবিধা ফিরিয়ে নিলে ব্যাঙ্কের সমস্যা বাড়বে। যার জেরে সেপ্টেম্বরে অনুৎপাদক সম্পদ দাঁড়াতে পারে ১৩.৫ শতাংশে। যা গত ২২ বছরে সর্বোচ্চ।

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আগের আর্থিক স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত রিপোর্টেও প্রকাশ পেয়েছিল দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে অনুৎপাদক সম্পদ বৃদ্ধির আশঙ্কা। এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে তাদের হুঁশিয়ারি, অতিমারির দাপট শিল্পকে যেখানে দাঁড় করিয়েছে, তাতে আগামী সেপ্টেম্বরে ব্যাঙ্কগুলির ঋণের সাপেক্ষে মোট অনুৎপাদক সম্পদের হার ১৩.৫% ছুঁতে পারে। অবস্থা আরও খারাপ হলে ১৪.৮%। যে কারণে সব ব্যাঙ্ককেই আগামী দিনের কথা ভেবে পুঁজি সংগ্রহের পরামর্শ দিয়েছে তারা। ইঙ্গিত স্পষ্ট, অতিমারির সময়ে আনা সুরাহা ফেরানো হলে হাল যাতে আরও খারাপ না-হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement