—প্রতীকী চিত্র।
সব কিছু ঠিকঠাক চললে এ রাজ্যের বড় আবাসনগুলিতেও বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিং স্টেশন গড়ার ব্যবসায় পা রাখতে পারে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ় ও আদানি গোষ্ঠী!
১০০টির বেশি ফ্ল্যাট রয়েছে এমন পুরনো আবাসনে যৌথ উদ্যোগে চার্জিং স্টেশন পরিকাঠামো গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই একপ্রস্থ আলোচনার পরে প্রাথমিক ভাবে মূলত কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার এমন কিছু আবাসনে শনিবার থেকে সম্ভাব্যতার সমীক্ষা শুরু হয়েছে। কয়েকটিতে সমীক্ষা চালাবে মুকেশ অম্বানী ও গৌতম আদানির গোষ্ঠীর সংস্থাও। প্রাথমিক ভাবনা অনুযায়ী, ইচ্ছুক আবাসিকদের জন্য আলাদা ভাবে ‘স্লো চার্জার’ বসাবে বরাত নেওয়া সংস্থাগুলি। জায়গা মিললে সকলের জন্য সাধারণ ভাবে একটি ‘ফাস্ট চার্জার’-ও বসানো হতে পারে। চার্জ দিতে ইউনিট প্রতি সংস্থাকে মাসুল দেবেন সংশ্লিষ্ট আবাসিক।
দূষণ ও জ্বালানি আমদানির খরচ ছাঁটতে বিকল্প জ্বালানির গাড়ি ব্যবহারে জোর দিচ্ছে ভারত। নিজেদের এলাকায় যৌথ উদ্যোগে গাড়ির চার্জিং স্টেশন গড়ছে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। তিন দফায় তাদের এবং রাজ্য বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থা, পথসাথি ও বিভিন্ন পুরসভার উদ্বৃত্ত জমিতে এ ভাবে ১৮৮টি চার্জিং স্টেশন গড়ার দরপত্রের কিছু বরাত অন্যান্যদের সঙ্গে জিতেছে রিলায়্যান্স বিপি মোবিলিটি (জিয়ো বিপি) ও আদানি টোটাল এনার্জিস।
নতুন পুর বিধি অনুযায়ী, ১০০টির বেশি ফ্ল্যাটের নতুন আবাসনে চার্জিং স্টেশন বাধ্যতামূলক। কিন্তু পুরনোগুলিতে এই পরিকাঠামো গড়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। এ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে গত ২২ ডিসেম্বর নিউটাউন, রাজারহাট, বাগুইআটি, কেষ্টপুর, বারাসত, ব্যারাকপুর, গড়িয়া, বারুইপুর, হাওড়া ইত্যাদি অঞ্চলে ৬০টি বড় আবাসনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে বণ্টন সংস্থাটি। সেখানে সংস্থার ডিরেক্টর (মানবসম্পদ) অভিজিৎ লাটুয়া ও বিদ্যুৎ দফতরের যুগ্ম সচিব প্রলয় মজুমদার বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি ও আবাসনে এই পরিকাঠামোর প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। সংস্থাটির চিফ এঞ্জিনিয়ার (প্রজেক্ট-৩) পথিক নায়েক জানান, আবাসনগুলি সম্মতি দিলে সমীক্ষা চালাবে বণ্টন সংস্থাটির যৌথ প্রকল্পে অংশ নেওয়া চার্জিং স্টেশন নির্মাণকারী সংস্থাগুলি।
বণ্টন সংস্থা সূত্রের খবর, ২৬টি আবাসন সম্মতি দেওয়ায় শনিবার থেকে পর্যায়ক্রমে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। রিলায়্যান্স ও আদানির সংস্থাগুলি পাঁচটি করে আবাসনে কাজের দায়িত্ব পেয়েছে। বাকি সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে চার্জারজি, এভার ফুয়েল, টেরা, পাওয়ার ওয়ান। দিন সাতেকের মধ্যে সমীক্ষার রিপোর্ট তৈরি হওয়ার কথা।