প্রতীকী ছবি। ফাইল চিত্র।
দেশের যত বেশি সম্ভব মানুষকে বিমার আওতায় আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র। কিন্তু গ্রাহকের বিমার টাকা দাবি করা নিয়ে (ক্লেম) মীমাংসার ক্ষেত্রে বিমা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ কম নয়। আরও বেশি অভিযোগ থার্ড পার্টি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর (টিপিএ) সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে। এই সমস্যার সমাধানে স্বাস্থ্য বিমা সংস্থাগুলির পাশাপাশি, যে সমস্ত জীবন ও সাধারণ বিমা সংস্থা স্বাস্থ্য বিমার ব্যবসা করে, তাদের একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছে বিমা নিয়ন্ত্রক আইআরডিএ। সেই সঙ্গে নির্দেশিকায় তারা বলেছে, গ্রাহকদের দাবির মীমাংসার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বাড়াতে হবে।
সম্প্রতি বিমা ক্ষেত্রে বিদেশি লগ্নির ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। তাদের যুক্তি, এই ক্ষেত্রে বেশি লগ্নি এলে আরও বেশি মানুষকে বিমার আওতায় আনা সহজ হবে। কিন্তু গ্রাহকদের দিক থেকে প্রায়ই অভিযোগ ওঠে, পলিসি বেচার সময়ে গাল ভরা প্রতিশ্রুতি দিলেও বিমা ও টিপিএ সংস্থাগুলি সেই দাবি মেটাচ্ছে না। হয়রানি হচ্ছে ক্যাশলেস পরিষেবা পেতে। অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ ওঠে, মীমাংসা সংক্রান্ত নথি ঠিক মতো সরবরাহ করছে না সংস্থাগুলি। ফলে দাবির কোন অংশ মেটানো হচ্ছে, আর কোন অংশের টাকা কেন মেটানো হচ্ছে না, সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। এই ধরনের সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছে আইআরডিএ।
বিমা নিয়ন্ত্রকের পক্ষ থেকে সংস্থাগুলিকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোন ক্লেম কখন কী অবস্থায় রয়েছে তা গ্রাহকেরা যাতে স্পষ্ট জানতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘‘ওয়েবসাইট, পোর্টাল, অ্যাপ বা অন্য যে কোনও বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে ক্যাশলেস পরিষেবার আবেদন জানালে, গ্রাহক যেন তার মীমাংসার পর্যায়গুলি দেখতে পারেন। বিমা সংস্থাগুলিকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’’ আইআরডিএ জানিয়েছে, বিমা সংস্থার হয়ে মীমাংসার কাজ টিপিএ করলে গ্রাহক কী ভাবে ওই তথ্য পাবেন তা-ও জানিয়ে দিতে হবে। আবার কোনও আবেদন খারিজ হলে কোন শর্তের ভিত্তিতে তা বাতিল হল, সেই সংক্রান্ত তথ্য দিতে হবে। গ্রাহকদের কোনও অভিযোগ থাকলে কী ভাবে তা সংস্থাকে জানাতে পারবেন, তা-ও নথির মাধ্যমে জানিয়ে দিতে হবে তাঁদেরকে।