—প্রতীকী চিত্র।
কাজের চাপ বেড়েছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে তাই দ্রুত গতিতে এবং নির্ভুল ভাবে গ্রাহকদের আর্থিক পরিষেবা দিতে হবে। দক্ষ হতে হবে আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগে। এক রিপোর্টে ব্যাঙ্কগুলির কাজের ধরনে এই বদল আনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেই সেখানে কর্মী নিয়োগের জন্য নেওয়া পরীক্ষার ধাঁচা পাল্টানোর পক্ষে সওয়াল করেছে কর্মী বর্গ, জন অভিযোগ, আইন এবং ন্যায়বিচার সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
কমিটির দাবি, বছর দশেক আগের তুলনায় এখন ব্যাঙ্কে কাজের প্রকৃতি বদলেছে। কেন্দ্র এবং রাজ্যের অসংখ্য প্রকল্প কার্যকর করতে হয়। গরিব মানুষের সহায়ক নানা ব্যবস্থা সামলাতে হয়। গ্রাহকও বেড়েছে বিপুল। ফলে কাজের গতি ও যথার্থতা বাড়ানো দরকার। নেট ব্যাঙ্কিং আধুনিক প্রযুক্তি জানার চাহিদাও বাড়িয়েছে। প্রার্থীদের নিয়োগের সময় এগুলি মাথায় রাখা জরুরি। তাঁরা কর্মক্ষেত্রে এই সব চাহিদা মেটাতে সক্ষম কি না, সেটা যাচাই করতেই বদলাতে হবে পরীক্ষার ধরন। যাতে গ্রাহক সমস্যায় না পড়েন এবং পরিষেবা দেওয়ার প্রক্রিয়া শ্লথ না হয়ে যায়।
বিজেপি সাংসদ সুশীল মোদীর নেতৃত্বাধীন ওই সংসদীয় কমিটির রিপোর্টে স্পষ্ট বার্তা, তারা বিশ্বাস করে দেশের বেশিরভাগ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কেই কাজের গতি বৃদ্ধি এবং নির্ভুল পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও উন্নতি হচ্ছে না। কারণ কাজের ধরন যা-ই হোক, ভারতে বেশিরভাগ নিয়োগ সংস্থার পরীক্ষা নেওয়া এবং প্রশ্নের ধরন প্রায় এক। তাই ব্যাঙ্কে নিয়োগের ভারপ্রাপ্ত আইবিপিএস-এর কাছে তাদের প্রশ্ন— প্রথমত, প্রার্থীদের কর্মদক্ষতা যাচাই করতে বিশেষ কোনও পরীক্ষা নেওয়া হয় কি না কিংবা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে কি না। দ্বিতীয়ত, বর্তমানে বদলে যাওয়া পটভূমিকায় এবং সময়ের সঙ্গে পা মিলিয়ে চলতে কী ভাবে পরীক্ষার পাঠ্যক্রম তৈরি হচ্ছে।
কমিটির সুপারিশগুলির মধ্যে আছে— বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী পাঠ্যক্রম ঢেলে সাজানো। প্রযুক্তিতে বিশেষ জোর। গরিব ঘরের ছেলেমেয়েদের কথা ভেবে কেউ ফি জমা দিয়েও পরীক্ষায় না বসলে কিংবা বসেও সফল না হলে টাকা ফেরতের ব্যবস্থা। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ৯৫% আবেদনকারী চাকরি পান না। কিন্তু বেকার হলেও অনেকে পরীক্ষায় বসার ফি গুনতে বাধ্য হন। তাই পরীক্ষার খরচ রাজ্য এবং কেন্দ্রকে ভাগাভাগি করে বহন করার প্রস্তাব ভেবে দেখার সুপারিশও করা হয়েছে।