Real Estate

এ বছরে ভাল বিক্রির আশায় আবাসন ক্ষেত্র

কলকাতা, চেন্নাই, দিল্লি ও রাজধানী সংলগ্ন অঞ্চল, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুণে, মুম্বই মেট্রোপলিটন অঞ্চলে আবাসন, ফ্ল্যাটের কেনাকাটার সমীক্ষা চালিয়েছে অ্যানারক

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২২ ০৯:২০
Share:

প্রতীকী চিত্র।

কিছুটা স্বস্তি। তবুও করোনার আগের পরিস্থিতিতে পৌঁছোনোর পথ এখনও বাকি। গত তিন বছরে দেশের আবাসন ক্ষেত্রের বিক্রিবাটার যে তুলনামূলক হিসাব উপদেষ্টা সংস্থা অ্যানারক দিয়েছে, সেখানেই উঠে এসেছে এই তথ্য। তবে তারা আশাবাদী, সংক্রমণের থাবা নতুন করে পরিস্থিতি বেহাল না-করলে এ বছরে সেই স্বাভাবিক পর্যায় ছুঁতে পারবে আবাসন ক্ষেত্র।

Advertisement

কলকাতা, চেন্নাই, দিল্লি ও রাজধানী সংলগ্ন অঞ্চল, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুণে, মুম্বই মেট্রোপলিটন অঞ্চলে আবাসন, ফ্ল্যাটের কেনাকাটার সমীক্ষা চালিয়েছে অ্যানারক। তাদের হিসেবে, গত বছর সেখানে মোট বিক্রি হয়েছে ২,২৬,৫৩০টি ইউনিট। যা ২০২০ সালের চেয়ে ৭১% বেশি। কিন্তু করোনার আগে ২০১৯ সালের তুলনায় ১০% কম। কলকাতায় বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণ। হায়দরাবাদে তিনগুণ। বাদবাকি শহরও উল্লেখযোগ্য হারে বিক্রি বৃদ্ধির মুখ দেখেছে।

অতিমারির জেরে প্রকল্পের কাজ থমকে যাওয়ায় ধাক্কা লেগেছিল আবাসন শিল্পে। বাড়ি থেকে কাজের পরিসর বাড়ায় অনেক জায়গাতেই তার চাহিদা তৈরি হলেও, চিকিৎসা-সহ বিভিন্ন অত্যাবশ্যক খরচের চিন্তায় সঞ্চয়ের পথে বেশি করে হাঁটেন ক্রেতাদের একাংশ। ফলে রাশ পড়ে ফ্ল্যাট-বাড়ি বিক্রিতে।

Advertisement

পরে মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গের মতো কিছু রাজ্য স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় দেওয়ায় রেজিস্ট্রেশনের খরচ কমে। তার সঙ্গেই কম সুদ এবং অন্যান্য সুবিধা জমে থাকা চাহিদাকে বিক্রিতে বদলাতে সাহায্য করেছে বলে জানাচ্ছে উপদেষ্টা সংস্থাটি। পুরো বছরের বিক্রির ৩৯ শতাংশই হয়েছে উৎসবের মরসুম-সহ গত অক্টোবর-ডিসেম্বরে।

এই পরিস্থিতিতে এ বছরও ভাল ব্যবসার আশা করছেন অ্যানারকের চেয়ারম্যান অনুজ পুরী। তবে তাঁর মতে, সে জন্য অতিমারি নিয়ন্ত্রণে থাকা জরুরি। সেটা হলে প্রাক্‌-করোনার সময়ের ব্যবসা ছোঁয়া সম্ভব হবে এ বছরই। তবে কাঁচামাল ও জোগান সঙ্কটে সম্পত্তির দাম ৫-৮% বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement