প্রতীকী ছবি।
গত বছর প্রথম দফার করোনা সংক্রমণে তলানিতে নেমেছিল আবাসন ক্ষেত্রের ব্যবসা। পরে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়া এবং ঋণে সুদের হার কমায় ধীরে ধীরে বাড়ে ফ্ল্যাট-বাড়ির বিক্রি। কিন্তু তাতে ফের বাধ সাধে দ্বিতীয় ঢেউ। যদিও তার পরে গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফের বাজারে চাহিদা বাড়ছে বলে দাবি আবাসন উপদেষ্টা সংস্থাগুলির। অ্যানারক জানাচ্ছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কলকাতা-সহ দেশের সাতটি শহরে এ বছরে বিক্রি বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। তবে জেএলএল ইন্ডিয়া-র বার্তা, এ বছর কেনাকাটার সামর্থ ২০২০ সালের চেয়ে মুখ তুলেছে ঠিকই। কিন্তু সেটাও গত বছরের নিচু ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে। ফলে আদতে চাকা কতটা ঘুরল তা স্পষ্ট নয়।
অ্যানারকের সমীক্ষা বলছে, গত বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে কলকাতা, দিল্লি ও রাজধানী সংলগ্ন অঞ্চল (এনসিআর), মুম্বই মেট্রোপলিটন এলাকা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ ও পুণেতে সব মিলিয়ে ২৯,৫২০টি ফ্ল্যাট-বাড়ি বিক্রি হয়েছিল। এ বারে তা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২,৮০০টি। কলকাতায় ১৬০০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩২২০। মুম্বইয়ে ৯২০০ থেকে ২০,৯৬৫। দিল্লিতে ৫২০০ থেকে ১০,২২০। গত বছরের ওই সময়ের চেয়ে এ বারে গড় দামও বেড়েছে প্রায় ৩%। প্রতি বর্গফুটে ৫৬০০ টাকা থেকে ৫৭৬০ টাকা। সংস্থার চেয়ারম্যান অনুজ পুরীর মতে, মূলত তথ্যপ্রযুক্তি ও আর্থিক ক্ষেত্রের কর্মসংস্থান বাড়ায় এবং সেই সব কর্মীর চাহিদার উপর ভর করেই বিক্রি মাথা তুলছে। রয়েছে বাড়ি থেকে কাজ এবং প্রতিষেধক বণ্টনও।
গত বছরের নিচু ভিতের কথা বললেও জেএলএল-এর দাবি, ২০২০ সালের চেয়ে এ বারে ফ্ল্যাট-বাড়ি কেনার সামর্থ্য বেড়েছে। কারণ পরিবারের আয় বেড়েছে ৭%-৯%। ঋণের সুদের হার দাঁড়িয়েছে ১৫ বছরে সর্বনিম্ন। ফলে কিস্তির বোঝা কমায় আগ্রহী হচ্ছেন ক্রেতারা। সংস্থাটির মতে, সেই আগ্রহের তালিকায় সব চেয়ে এগিয়ে কলকাতা। দামি বাজার হিসেবে সেই স্থান মুম্বইয়ের। তবে হায়দরাবাদ ছাড়া বাকি অঞ্চলে আবাসনের দাম মোটামুটি একই রয়েছে বলেও জানাচ্ছে তারা।