—প্রতীকী ছবি।
বন্ধকহীন ঋণের টাকা কী কাজে ব্যবহার করা হবে, তার নিশ্চিত দিশা না থাকলে ওই ঋণ বণ্টনে ব্যাঙ্কগুলি সংযত হোক— ফের এমনই বার্তা দিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই)।
বন্ধক নিয়ে দেওয়া ঋণের তুলনায় বন্ধকহীন ঋণে ঝুঁকি বেশি। যার মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত বা ক্রেডিট কার্ডের মতো ঋণ। সেই ঋণ কোন খাতে গ্রাহক ব্যবহার করবেন, তা সাধারণত আগে থেকে নির্দিষ্ট ভাবে জানতে পারে না ব্যাঙ্ক। অতিমারির পরে এমন ঋণের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া আরবিআইয়ের কাছে কিছুটা হলেও উদ্বেগের। তাই এমন ঋণে ঝুঁকির মাপকাঠি সম্প্রতি আরও কিছুটা আঁটোসাঁটো করেছে তারা।
শুক্রবার ঋণনীতি ঘোষণার পরে শীর্ষ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর স্বামীনাথন জে-র বার্তা, ‘‘আরবিআই চায় এই ধরনের ঋণ বণ্টন কমাক ব্যাঙ্কগুলি।’’ তবে তিনি এ-ও বলেছেন, এর অর্থ ঋণ দিতে অস্বীকার করা বা তার বরাদ্দ কমানো নয়।
ঋণনীতি ঘোষণা করে আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসও জানান, ঝুঁকির মাপকাঠি আঁটোসাঁটো করা আর্থিক ক্ষেত্রকে মজবুত রাখার আগাম পদক্ষেপ। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বাড়িতে আগুন লাগার পরে তা নেভানোর জন্য অপেক্ষা করতে পারি না। এ জন্য আগাম ব্যবস্থা নেওয়াই নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং নিয়ন্ত্রিত সংস্থার ভাবনা হওয়া উচিত।’’ পরে অবশ্য তিনি আরও দাবি করেন, শীর্ষ ব্যাঙ্ক নজরদারি প্রক্রিয়া আরও জোরদার করেছে। যার মধ্যে অন্যতম হল বাড়তি চাপ খতিয়ে দেখতে ছোট পদক্ষেপও।
আরবিআইয়ের আর এক ডেপুটি গভর্নর এম রাজেশ্বর রাওয়েরও দাবি, এটি ঠিক ভাবে ব্যাঙ্ক পরিচালনার অন্যতম পদক্ষেপ।