COVID-19

ব্যাঙ্কগুলিকে এখনই প্রস্তুত হতে পরামর্শ

দু’বছর লোকসানের পরে ২০১৯-২০ সালে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ব্যাঙ্কিং শিল্প। কিন্তু গত অর্থবর্ষের শেষ থেকে থাবা বসিয়েছে করোনা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:০৩
Share:

ফাইল চিত্র।

করোনা সমস্যা মোকাবিলা করতে কোনও ঋণকে অনুৎপাদক সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত না-করা, ঋণ ঢেলে সাজা-সহ একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র এবং রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু সেগুলি এক সময়ে তুলে নিতে হবে। তখনকার অবস্থা সামাল দেওয়াই করোনা পরবর্তী সময়ে ব্যাঙ্কিং শিল্পের কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মঙ্গলবার রিপোর্টে জানিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। আরবিআইয়ের মতে, আগামী দিনে আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারের মতো নানা বিষয়ে বদল আসবে। তার উপরে সুযোগ-সুবিধা তুলে নেওয়ার প্রভাব পড়তে পারে ব্যাঙ্কের স্বাস্থ্যের উপরে। তাই এখন থেকেই তাদের তৈরি হতে হবে।

Advertisement

দু’বছর লোকসানের পরে ২০১৯-২০ সালে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ব্যাঙ্কিং শিল্প। কিন্তু গত অর্থবর্ষের শেষ থেকে থাবা বসিয়েছে করোনা। যার জেরে চলতি অর্থবর্ষে বহু ঋণ অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু শীর্ষ ব্যাঙ্ক ও কেন্দ্রের পদক্ষেপ পরিস্থিতি সামাল দিতে সাহায্য করে বলে জানাচ্ছেন ব্যাঙ্ককর্তারা। ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের এগ্‌জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর কে রামচন্দ্রন বলেন, ‘‘শীর্ষ ব্যাঙ্ক অনাদায়ি ঋণকে অনুৎপাদক সম্পদের তকমা না-লাগানোর নির্দেশ দেওয়ায় ব্যাঙ্কগুলিকে আর্থিক সংস্থান করতে হবে না। রাস্তা তৈরি হবে মুনাফার।’’

তবে রিপোর্টে ব্যাঙ্ক প্রতারণা নিয়ে সতর্ক করেছে আরবিআই। জানিয়েছে, লকডাউনের মধ্যে অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসে তার অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৬৪,৬৮১ কোটি টাকা। গত বছর এই সময়ে তা ছিল ১,১৩,৩৭৪ কোটি। ১ লক্ষ টাকা বা তার বেশি প্রতারণাকেই হিসেবে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে এনবিএফসি ও শহুরে সমবায় ব্যাঙ্কের স্বাস্থ্য নিয়েও সতর্ক করেছে তারা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement