গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
দেশের বড় কর্পোরেট সংস্থাগুলোকে ব্যাঙ্কিং ব্যবসায় টেনে আনার উদ্যোগ নেওয়া হোক। এমনই সুপারিশ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)-র অভ্যন্তরীণ প্যানেল। প্যানেলের নির্দিষ্ট প্রস্তাব, প্রাইভেট সেক্টর ব্যাঙ্কের প্রোমোটারের অংশিদারীর সর্বোচ্চ সীমা ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৬ শতাংশ হোক। এ জন্য অবশ্য ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্ট-এ বদল জরুরি। এই বদল ঘটলে টাটা, বিড়লা, অম্বানী কিংবা মহিন্দ্রার মতো বড় কর্পোরেট পুঁজির সংস্থা ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় ঢুকতে উত্সাহিত হতে পারে মনে করছে এই প্যানেল।
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি, আদিত্য বিড়লা নুভো, টেক মহিন্দ্রা, টাটা সন্স, সান ফার্মা এর আগেই ব্যাঙ্ক লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিল। কেউ কেউ লাইসেন্স পেয়েওছিল। অনেকে দ্বিতীয়বার ভাবনা-চিন্তা করে সরে এসেছিল। তার কারণ ছিল, প্রাইভেট সেক্টর ব্যাঙ্কের প্রোমোটারের অংশিদারীর সর্বোচ্চ সীমা না বাড়ানো। প্যানেল মনে করছে, ওই সীমা বাড়ানো হলে দেশের কর্পোরেট সংস্থাগুলো ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় আসতে পারে।
অতীতে ব্যাঙ্কিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে অত কড়াকড়ি ছিল না। শেষ দু’টি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল ৭ বছর আগে আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্ক এবং বাংলার উদ্যোগপতী চন্দ্রশেখর ঘোষের বন্ধন ব্যাঙ্ককে। তারও আগে আরবিআই আরও দু’টি লাইসেন্স দিয়েছিল কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক এবং ইয়েস ব্যাঙ্ককে।
আরও পড়ুন: ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা, ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ আদালতের
নিয়মকানুনে ছাড় দিয়ে স্বল্প পুঁজির সংস্থাকে ব্যাঙ্কিং ব্যবসায় আনা এবং দেশের যে জনসমাজ ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার বাইরে রয়েছেন, তাঁদের টেনে আনার জন্যও কিছু শর্ত স্বাপেক্ষে ওই লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওই প্যানেলের নয়া সুপারিশ অনুযায়ী এ বার ১৯৪৯ সালের ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্টের সংস্কার প্রয়োজন। সেটা হলে কর্পোরেট সংস্থাগুলোও আসতে পারে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায়।
আরও পড়ুন: কিষেণজির মৃত্যু বার্ষিকীর আগে জঙ্গলমহল ছাড়ল ১৪ কোম্পানি সিআরপিএফ