সময় বাড়তে পারে এক মাস। — ফাইল চিত্র।
গত মে মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) জানিয়ে দিয়েছিল দু’হাজার টাকার নোট ব্যবহার বন্ধ করা দেওয়া হবে। অবিলম্বে ২ হাজার টাকার নোট ব্যবহার বন্ধ করতে ব্যাঙ্কগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে বলা হয়, কারও কাছে দু’হাজার টাকার নোট থাকলে, তা ২৩ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্কে জমা করতে হবে। শেষ বেলায় সেই সময়সীমা এক মাস বাড়তে পারে। নোট ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বাড়াতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এমনটাই জানিয়েছে ‘মানিকন্ট্রোল’ ওয়েবসাইট। সেখানে জানানো হয়েছে, সরকারি ঘোষণা না হলেও এমন সিদ্ধান্তের সঙ্গে যুক্ত এক কর্তা সময় বৃদ্ধির বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
মে মাসে আরবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছিল, ২০১৬ সালে নোট বাতিলের সময় ৫০০ এবং ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল। সেই সময় নোটের ঘাটতি পূরণ করতে বাজারে দু’হাজার টাকার নোট আনা হয়েছিল। বর্তমানে অন্য নোটগুলির জোগান যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। তাই ২০১৮-১৯ সালে দু’হাজার টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ বার তা বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে। গত ১ সেপ্টেম্বর শীর্ষ ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, ৩.৩২ লক্ষ কোটি নোট ইতিমধ্যেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কে ফিরে এসেছে। সেটা মোট বাজারে থাকা নোটের ৯৭ শতাংশ। এখন দেখা যাচ্ছে, অনাবাসী ভারতীয়দের কাছেও বেশ কিছু নোট থেকে যেতে পারে। তাঁরা যাতে ব্যাঙ্কে সেই নোট জমা করে দিতে পারেন তার জন্যই সময় বৃদ্ধির কথা ভাবা হচ্ছে। শুক্র বা শনিবারেই আনুষ্ঠানিক ভাবে তা ঘোষণা করা হতে পারে।
মে মাসের বিজ্ঞপ্তিতে কী ভাবে নোট জমা করা যাবে তাও বিস্তারিত জানিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বলা হয়েছিল, নিজেদের ব্যাঙ্কে গিয়ে দু’হাজারের নোট জমা করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। ২৩ মে থেকে ব্যাঙ্ক এবং আরবিআইয়ের আঞ্চলিক দফতরগুলিতে গিয়ে নোট জমা দেওয়া যাবে। দু’হাজার টাকার নোট জমা করতে গিয়ে ব্যাঙ্কগুলির দৈনন্দিন কাজে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে কিংবা কোনও বিশৃঙ্খলা যাতে তৈরি না হয়, সেই কারণে কোনও এক দিনে দু’হাজারের নোটে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা জমা দেওয়া যাবে বলেও জানানো হয়েছিল। একই সঙ্গে বলা হয়েছিল, নোট জমা দেওয়ার সময় কেওয়াইসি এবং প্রয়োজনীয় অন্য তথ্য ব্যাঙ্ককে জানাতে হবে। গোটা প্রক্রিয়া সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও এখন তা মাস খানেক বাড়তে পারে।