২০০০-এর নোট নিয়ে হয়রানির অভিযোগ

সংখ্যা কমছে, তবে ২০০০-এর নোট বাতিলের খবর নেই

কিন্তু সাধারণ মানুষের একাংশের অভিযোগ, অনেক জায়গায় ২০০০ টাকার নোট নিতে অস্বীকার করছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে হয়রান হচ্ছেন তাঁরা। বড় লেনদেনের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়তে হচ্ছে অনেককেই। ওই নোট জমার বহর বেড়েছে ব্যাঙ্কেও।

Advertisement

প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৯ ০২:১১
Share:

প্রতীকী ছবি

কালো টাকা মজুত করতে ২০০০ টাকার নোটকে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে সম্প্রতি রাজ্যসভায় জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, বিপদ আঁচ করে সরকারি মহলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে আরও আগেই। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, দু’হাজার টাকায় বেআইনি পুঁজি জমানোর বিষয়টি গুরুতর হয়ে উঠছে টের পেয়ে ইতিমধ্যেই বাজার থেকে ধীরে ধীরে ওই নোট তুলে নিতে শুরু করেছে সরকার। সম্প্রতি তা ছাপানোও বন্ধ করেছে আরবিআই। যদিও তা বাতিল হওয়ার কোনও খবর বা ইঙ্গিত নেই কোনও তরফেই।

Advertisement

কিন্তু সাধারণ মানুষের একাংশের অভিযোগ, অনেক জায়গায় ২০০০ টাকার নোট নিতে অস্বীকার করছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে হয়রান হচ্ছেন তাঁরা। বড় লেনদেনের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়তে হচ্ছে অনেককেই। ওই নোট জমার বহর বেড়েছে ব্যাঙ্কেও। অথচ তা বাতিল হওয়ার কথা কেন্দ্র বা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কারও থেকেই শোনা যায়নি। মেলেনি তেমন ইঙ্গিতও। শুধু বাজারে ধীরে ধীরে নোটের সংখ্যা কমানো হচ্ছে।

শীর্ষ ব্যাঙ্ক সূত্রের দাবি, এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে তা ছাপানো বন্ধ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আরবিআইয়ের ঘরে যত ২০০০-এর নোট ঢুকছে, তা বাজারে ফেরত পাঠানো হচ্ছে না। বদলে ছাড়া হচ্ছে সমমূল্যের ৫০০ টাকার নোট। বহু এটিএমে ২০০০ টাকা দেওয়া কমেছে বা বন্ধ হয়েছে বলেও খবর।

Advertisement

সূত্রের দাবি

• বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট ধাপে ধাপে তুলছে কেন্দ্র।
• এই নোট ছাপানো বন্ধ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
• আরবিআইয়ের ঘরে ওই মূল্যের যত নোট ঢুকছে, তা আর বাজারে ফেরত পাঠানো হচ্ছে না। বদলে সম-মূল্যের ৫০০ টাকার নোট ছাড়ছে তারা।
• বহু এটিএমেও ২০০০ টাকা দেওয়া কমেছে বা বন্ধ হয়েছে।
• তবে এই নোট বাতিল হওয়ার কোনও খবর নেই। সরকার বা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কারও তরফেই তেমন কোনও ইঙ্গিত নেই।

তিন বছর আগে পুরনো ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট বাতিলের পরে বাজারে নগদ জোগান বাড়াতে ২০০০ টাকা আনে কেন্দ্র। নতুন চেহারায় ফেরে ৫০০ টাকাও। তখনই বিরোধীরা তোপ দাগেন, যে কালো টাকাকে শিখণ্ডী করে বড় নোট বাতিল করা হল, ২০০০-এর নোট এনে সেই বেআইনি পুঁজিকেই আরও সহজে জমানোর পথ করে দিল কেন্দ্র। আরবিআইয়ের এক কর্তারও দাবি, এত সুবিধা হয়েছে কালো টাকার মালিকদের। কম নোটে অনেক বেশি কালো টাকা জমানো যাচ্ছে। আশঙ্কা যে সত্যি হয়েছে তা স্পষ্ট কেন্দ্রের হিসেবেই। নির্মলা জানিয়েছেন, বেআইনি ভাবে রাখার অভিযোগে আয়কর দফতর গত দুই অর্থবর্ষ ও চলতি অর্থবর্ষের প্রথম আট মাসে যে অর্থ বাজেয়াপ্ত করেছে, তার সিংহভাগই ২০০০ টাকার নোট। সূত্রের খবর, এর জেরেই কেন্দ্র ওই নোট ধাপে ধাপে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়।

অনেকের অবশ্য ধারণা, বড় নোট হিসেবে শুধু ৫০০ থাকলে মোটা অঙ্কের নগদ লেনদেনে প্রচুর নোট লাগবে। তাই ফের ১০০০ টাকার নোট চালুর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement