শক্তিকান্ত দাস। ফাইল চিত্র।
মূল্যবৃদ্ধির দৈত্যকে বাগে আনতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক কি দেরিতে পদক্ষেপ করেছে? এই প্রশ্নে বিতর্ক রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। শুক্রবার এক আলোচনাচক্রে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন খোদ শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তাঁর বক্তব্য, দেরিতে পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে মনে করেন না তিনি। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে দেশের অর্থনীতি সঙ্কোচনের খাদে তলিয়ে গিয়েছিল। বৃদ্ধির চাকাকে গতিশীল করার আগে সুদ বাড়ানো হলে তা আত্মঘাতী পদক্ষেপ হতে পারত। হয়তো ২০২১-২২ অর্থবর্ষেও বড় অঙ্কের বৃদ্ধির মুখ দেখত না অর্থনীতি।
সম্প্রতি এক নিবন্ধে কেন্দ্রের প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেরিতে পদক্ষেপ করা হয়েছে দাবি করে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সমালোচনা করেন। তাঁর বক্তব্য, ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে শীর্ষ ব্যাঙ্ক মূল্যবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়ে আসছে। তা উঠে গিয়েছে ৪ শতাংশের উপরে। এর পর ৩২ মাসের মধ্যে ১৮ মাস সেই লক্ষ্যপূরণ করা যায়নি। এই সমালোচনার প্রেক্ষিতে শক্তিকান্তের এ দিনের বক্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। যদিও গভর্নর দাবি করেন, ওই নিবন্ধ তিনি পড়েননি। কোনও বিতর্কে যোগও দিতে চান না।
অনেক বিতর্কের শেষে সম্প্রতি রেপো রেট দু’দফায় ৯০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। এ দিন গভর্নরের ব্যাখ্যা, শীর্ষ ব্যাঙ্কের বিধিতেই স্পষ্ট বলা রয়েছে, বৃদ্ধির পরিস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তার পরেই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে পদক্ষেপ করতে হবে। গত মার্চে তাঁদের মনে হয়েছিল অবশেষে আর্থিক কর্মকাণ্ড করোনার আগের অবস্থাকে অতিক্রম করেছে। এ বার অবস্থান বদল করা যেতে পারে। তবে তখনই সুদের হারে বড় বদলের ঝুঁকি নেননি তাঁরা। শেষ পর্যন্ত মে মাসে তা ৪০ বেসিস পয়েন্ট এবং জুনে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।