রেপে রেট কমানোর ঘোষণা করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
এক বছরে চার বার। এবং সেটাও ধারাবাহিক, অর্থাৎ পর পর চার বার রেপো রেট কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ৩৫ বেসিস পয়েন্ট অর্থাৎ দশমিক ৩৫ শতাংশ কমানোয় বর্তমানে রেপো রেট দাঁড়াল ৫.৪০ শকাংশ। রেপো রেট কমানোর ফলে ফলে ফের এক বার গাড়ি বাড়ির ঋণে সুদ এবং ইএমআই কমতে পারে বলেই মনে করছেন ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞরা।
আগের তিন বার রেপো রেট কমিয়েও আর্থিক বৃদ্ধিতে গতি আসেনি। বরং নিম্নমুখী। এই গতিকে কিছুটা চাঙ্গা করতেই ফের একই পথে হাঁটল শীর্ষ ব্যাঙ্ক। যদিও বর্ষার ঘাটতি, বিশ্ব বাজারে নিম্নগতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এই দাওয়াইও কতটা কাজে আসবে, তা নিয়ে সন্দিহান অর্থনীতিবিদদের একাংশ।
দু’মাস অন্তর আর্থিক নীতি পুনর্মূল্যায়ন করে মানিটরি পলিসি কমিটি (এমপিসি। কমিটির নেতৃত্বে থাকেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর। ৬ সদস্যের এই কমিটি নীতি পর্যালোচনার পর বুধবার রেপো রেট কমানোর ঘোষণা করলেন গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। বৈঠকে রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত ছিল। কিন্তু ২৫ বেসিস পয়েন্ট, নাকি ৩৫ বেসিস পয়েন্ট কমানো হবে, তা নিয়ে মতবিরোধ ছিল। শেষ পর্যন্ত ৪ জন ভোট দেন ৩৫ বেসিস পয়েন্টের পক্ষে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সেই সিদ্ধান্তই কার্যকরী হয়।
গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা এবংআর্থিক বৃদ্ধির গতির কথা মাথায় রেখে শুধুমাত্র ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানো যথেষ্ট ছিল না। সেই কারণেই ৩৫ বেসিস পয়েন্ট। চলতি আর্থিক বছরে জিডিপি বৃদ্ধির হারের লক্ষ্যমাত্রা ৭ থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে ৬.৯ শতাংশে। প্রথমার্ধে এই হার ধরা হয়েছে ৫.৬ থেকে ৬.৬ এর মধ্যে। দ্বিতীয়ার্ধে এই হার ৭.৩ থেকে ৭.৫ শতাংশ। তবে সেটাও রবিশষ্য এবং বাজারের গতির উপর অনেকটাই নির্ভর করবে বলেই মত অর্থনীতিবিদদের।
আরও পড়ুন: সুষমার শেষ টুইট: ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী, জীবনভর এই দিনটার অপেক্ষায় ছিলাম
আরও পডু়ন: আইনজীবী থেকে দুঁদে রাজনীতিক, বিপদে পড়লে সাহায্যের জন্য সদাপ্রস্তুত ছিলেন ‘সুপারমম’
যে সুদের হারে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয়, সেটাই রেপো রেট। উল্টো দিকে যে হারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেয়, তাকে বলা হয় রিভার্স রেপো রেট। এ বারের আর্থিক নীতিতে এই রিভার্স রেপো রেট অবশ্য অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে মূল্যবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩.১ শতাংশ। দ্বিতীয়ার্ধে ধরা হয়েছে ৪ শতাংশে। নীতি নির্ধারক কমিটির মতে, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে।