সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছিলেন, শীঘ্রই মূল্যবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পুুনর্মূল্যায়ন করবেন তাঁরা। তার আগেই শুক্রবার রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক রিপোর্ট অন কারেন্সি অ্যান্ড ফিনান্সে জানাল, আগামী পাঁচ বছরের জন্যও মূল্যবৃদ্ধির লক্ষ্যকে এখনকার মতো ৪ শতাংশে (+/-২%) বেঁধে রাখাই উচিত বলে মনে করে তারা।
মূল্যবৃদ্ধির বর্তমান লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছিল ২০১৬ সালে। যার ভিত্তিতে সুদের হার স্থির করে আরবিআইয়ের ঋণনীতি কমিটি। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে ওই সীমা ফিরে দেখার কথা। নির্মলা তা নতুন করে স্থির করার বার্তা দিতেই সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলেছিল, তা হলে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ককে সুদ ছাঁটার পথ করে দিতে সেই লক্ষ্যের পরিধি আরও চওড়া হবে? কারণ, আর্থিক বৃদ্ধির পথে ফিরতে সুদ কমানোর সওয়াল উঠছে শিল্প থেকে সরকারি মহলে। মূল্যবৃদ্ধি লক্ষ্যের মধ্যে না-থাকলে যা করা যাবে না।
রিপোর্টে আরবিআই কর্তাদের মতে, সীমা স্থির করার পরে মূল্যবৃদ্ধি ঘোরাফেরা করছে ৩.৮-৪.৩ শতাংশে। পাশাপাশি, সুদ কমানোর সুবিধা পৌঁছনোতেও গতি এসেছে। ফলে বর্তমান লক্ষ্যই বজায় রাখা যেতে পারে। রিপোর্টে ওই সীমা নিয়মিত খতিয়ে দেখার কথাও বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে ঋণনীতি কমিটিতে রাজনৈতিক প্রভাব এড়াতে একসঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাইরের সদস্য নিয়োগের বদলে বিভিন্ন সময়ে ধাপে
ধাপে নিয়োগের পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে। পাশাপাশি, তিনটির বদলে চারটি ত্রৈমাসিকে এই সীমায় মূল্যবৃদ্ধি বেঁধে রাখতে না-পারলে তবেই যেমন ঋণনীতি কমিটি ব্যর্থ হয়েছে বলা হয়, সেই দাবিও করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বহু দিন ধরেই রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের অভিযোগে সরব হয়েছে নানা মহল। রিপোর্টে বলা হয়েছে, যেখানে কমিটির তিন জন বাইরের সদস্য এবং দু’জন শীর্ষ ব্যাঙ্কের সদস্যকে সরকার বাছাই করে, সেখানে তার প্রভাবের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। যে কারণেই ধাপে ধাপে নিয়োগের পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে।