Reserve Bank of India

ঋণের অগ্রাধিকারে জুড়ল স্টার্ট-আপ

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, জাতীয় গুরুত্বের ভিত্তিতে বেশ কিছু ক্ষেত্রের উন্নয়ন এই মুহূর্তে পাখির চোখ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:৪৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

স্টার্ট-আপ বা নতুন সংস্থাগুলিকে ব্যাঙ্ক ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের তালিকায় (প্রায়রিটি সেক্টর লেন্ডিং) আনল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এই তালিকার পরিধি বাড়িয়ে শুক্রবার সংশোধিত সংস্করণটি প্রকাশ করেছে তারা। সেখানেই দেখা গেল, স্টার্ট-আপ সংস্থা ছাড়াও রয়েছে চাষের কাজের জন্য সৌর বিদ্যুৎ এবং কম্প্রেস্ড জৈব গ্যাস তৈরির প্রকল্পও। তবে স্টেট ব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদদের দাবি, স্টার্ট-আপের সব থেকে বড় সমস্যা হল ধার নেওয়ার জন্য তাদের বন্ধক রাখার মতো সম্পত্তি থাকে না। ফলে অগ্রাধিকারের তালিকায় সংস্থাগুলিকে জুড়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে সুবিধা দিল, তা নিশ্চিত ভাবে কাজে লাগাতে তাদের জন্য ঋণে সরকারি গ্যারান্টি জরুরি।

Advertisement

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, জাতীয় গুরুত্বের ভিত্তিতে বেশ কিছু ক্ষেত্রের উন্নয়ন এই মুহূর্তে পাখির চোখ। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই ব্যাঙ্ক ঋণ পাওয়ার সুবিধা এ ভাবে আরও ছড়ানো হল। যার আওতায় স্টার্ট-আপ ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারবে। চাষের জন্য পাম্প চালাতে চাষি সৌর বিদ্যুৎ বা জৈব গ্যাস প্লান্ট বসাতে চাইলে ঋণ দেওয়া হবে। আয়ুষ্মান ভারত-সহ দেশে স্বাস্থ্য পরিষেবা পরিকাঠামো সম্প্রসারণের প্রকল্পেও ঋণের পরিমাণ দ্বিগুণ করা হয়েছে। দ্বিগুণ হয়েছে অপ্রচলিত বিদ্যুতে ঋণের ঊর্ধ্বসীমাও।

আরবিআইয়ের দাবি, দেশের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে পুঁজির অভাব মেটাবে নতুন এই নির্দেশিকা। পোক্ত করবে অর্থনীতির ভিত। দূর হবে আঞ্চলিক স্তরে ঋণ পাওয়ায় বৈষম্য। যে কারণে এমন কিছু জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে অগ্রাধিকার তালিকায় ঋণ দেওয়ার পরিমাণ তুলনায় কম। সেখানে তা বাড়ানোয় জোর দেওয়া হবে। এ ছাড়া ঊর্ধ্বসীমা বাড়বে প্রান্তিক চাষি এবং দুর্বল শ্রেণির মানুষের জন্য ঋণে। যে সব ফার্মার্স প্রোডিউসার্স অর্গানাইজেশন বা ফার্মার্স প্রোডিউসার্স কোম্পানি পূর্ব নির্ধারিত দামে কৃষিপণ্য বিক্রি করে, ধারের সর্বোচ্চ সীমা বাড়বে তাদেরও।

Advertisement

ব্যাঙ্ক ঋণ পাওয়ার জন্য যে সব ক্ষেত্র এখন অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে সেগুলি হল, কৃষি, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প, রফতানি বাণিজ্য, শিক্ষা, গৃহ নির্মাণ, সামাজিক পরিকাঠামো তৈরি, অপ্রচলিত বিদ্যুৎ, সমাজের দুর্বল শ্রেণি ইত্যাদি। বর্তমান নিয়মে কোনও ব্যাঙ্ক নিট হিসেবে মোট যে ঋণ দেয় এবং বাধ্যতামূলক ভাবে সরকারি ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অনুমোদিত ঋণপত্রে (স্ট্যাটুটারি লিকুউডিটি রেশিয়ো) এবং সোনা মজুতের জন্য যে লগ্নি করে, তার বাইরে অন্য বিনিয়োগের ৪০% ধার দিতেই হয় অগ্রাধিকার ক্ষেত্রকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement