তাঁকে বলা হয় ‘ভারতের ওয়ারেন বাফে’। ইক্যুয়িটি ইনভেস্টর রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা মানেই নাকি মিডাস স্পর্শ। এমনটাই মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
ফোর্বস পত্রিকার চলতি বছরের তালিকা অনুযায়ী ৫৪তম ধনী ভারতীয় হলেন রাকেশ।
সারা বিশ্ব যখন অতিমারিতে বিপর্যস্ত, তখন রাকেশের শুধুমাত্র এই করোনা-কালে উপার্জন ১৪০০ কোটি টাকা।
রাকেশের জন্ম ১৯৬০ সালের ৫ জুলাই, হায়দরাবাদে। পরে তাঁর বেড়ে ওঠা মুম্বইয়ে।
সিডেনহ্যাম কলেজ অব কমার্স অ্যান্ড ইকনমিক্স থেকে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা সম্পূর্ণ করার পরে রাকেশের পরবর্তী গন্তব্য ছিল ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়া।
কলেজে পড়ার সময়েই রাকেশের আগ্রহ ছিল স্টক মার্কেট নিয়ে। এই ধারা তিনি পেয়েছিলেন তাঁর বাবার কাছ থেকে। তাঁর বাবা ছিলেন আয়কর বিভাগের অধিকর্তা। আগ্রহী ছিলেন স্টক মার্কেট নিয়ে।
১৯৮৬ থেকে ১৯৮৯-এর মধ্যে স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করে রাকেশ ২০-২৫ লক্ষ টাকা উপার্জন করেছিলেন। এটা তাঁর জীবনের বড় উপার্জনগুলির মধ্যে অন্যতম।
রাধাকৃষ্ণ দামানির কাছে শেয়ারবাজারের খুঁটিনাটি শিখেছিলেন রাকেশ। হর্ষদ মেটার গ্রেফতার হওয়ার পরে স্টক মার্কেটে তাঁর জায়গা অনেকটাই নিতে পেরেছিলেন তিনি।
রাকেশের নিজস্ব স্টক ট্রেডিং ফার্ম ‘রেয়ার এন্টারপ্রাইজ’ প্রথমসারির সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম।
২০১৭ সালে ট্রেডিংয়ের একটি মরসুম থেকে রাকেশ উপার্জন করেছিলেন ৮৭৫ কোটি টাকা।
ব্যবসা সংক্রান্ত পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৩ মার্চ থেকে রাকেশ শুধুমাত্র একটি সংস্থা থেকে দৈনিক ৫.৫৬ কোটি টাকা উপার্জন করেছেন।
হিসেবি পদক্ষেপে বিশ্বাসী হলেও রাকেশ জীবনে ঝুঁকি নিতে ভালবাসেন। সমাজসেবামূলক বিভিন্ন প্রকল্পেও তাঁর ভূমিকা সক্রিয়।
দুঁদে বিনিয়োগকারী রাকেশ জানিয়েছেন আগামী বছর জুলাইয়ের মধ্যে সম্পত্তির ২৫ শতাংশ তিনি দান করে দিতে চান।
সাফল্যের পাশাপাশি এসেছে বিতর্কও। হর্ষদ মেটাকে যখন গ্রেফতার করা হয়, সেবি-র নজরে ছিলেন রাকেশও।
ইনসাইডার ট্রেডিং কাণ্ডে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তও চলছে। কিন্তু সে সব তাঁর কাজে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারেনি।
কার্যত ভারতীয় শেয়ারবাজারে হর্ষদ মেটার পরে বড় নাম এখন রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা। তাঁকে বলা হয় ‘দালাল স্ট্রিটের বিগ বুল’।