—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মুম্বই থেকে আমদাবাদের মধ্যে ৫০৮ কিলোমিটার পথে ছুটবে বুলেট ট্রেন। প্রাথমিক ভাবে তার রেক আসবে জাপান থেকে। তবে খরচ হবে বিপুল। সেই খরচে রাশ টানতেই এর পরে তা দেশের মাটিতে তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। দায়িত্ব পেয়েছে বেঙ্গালুরুর ভারত আর্থ মুভার্স (বিইএমএল)। মূল প্রকল্পটি রূপায়িত হচ্ছে জাপানের শিনকানশেন রেলের প্রযুক্তি ব্যবহার করে। দেশের মাটিতে দু’টি রেকের জন্য ৮৬৬.৮৭ কোটি টাকার বরাত দেওয়া হয়েছে বেঙ্গালুরুর ওই রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাকে।
কলকাতার ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর রেক বেঙ্গালুরুর ওই সংস্থার তৈরি। বর্তমানে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্লিপার সংস্করণের শুরুর দিকের ১০টি রেকও তারাই বানাচ্ছে। রেল সূত্রের খবর, ৮৬৬.৮৭ কোটির বরাতের মধ্যে ট্রেনের পরিকল্পনা, নকশা ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিষয় চূড়ান্ত করা ছাড়াও পরিকাঠামো নির্মাণের খরচ ধরা রয়েছে। ট্রেন তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে তা চালুর আগে সেটির বিভিন্ন যান্ত্রিক এবং কারিগরি দিকগুলি পরীক্ষা করার জন্য গড়া হবে ওই পরিকাঠামো।
জাপানের ই-৫ শ্রেণির শিনকানসেন ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ৩২০ কিমি। ভারতে যে হাইস্পিড বুলেট তৈরি হবে, তার সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ২৮০ কিমি। প্রাথমিক ভাবে মুম্বই-আমদাবাদের পথে দু'ধরনের গতিবেগের ট্রেন চালানোর কথাই ভাবা হয়েছে। একটি মাত্র দু’ঘণ্টা সাত মিনিটে পুরো পথ অতিক্রম করবে। কম সংখ্যক স্টেশনে থামবে সেটি। অন্য ধরনের ট্রেন আমদাবাদ পৌঁছবে পৌনে তিন ঘণ্টার কাছাকাছি সময়ে। সূত্রের খবর, মূলত দ্বিতীয় ধরনের ট্রেনগুলিই দেশের মাটিতে তৈরি করতে চাইছে রেল। ২০২৬ সালের মধ্যে তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে।
সূত্র জানাচ্ছে, প্রাথমিক ভাবে আট কোচের দু’টি রেক তৈরি করে বুলেট ট্রেন তৈরির প্রযুক্তির চৌহদ্দিতে পা রাখতে চায় ভারত। ওই ট্রেনে হেলান দেওয়া এবং ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরতে পারার সুবিধাযুক্ত আসন থাকবে। রেল সূত্রের দাবি, বুলেট ট্রেন চালু হলে দৈনিক ৯০ হাজারের কাছাকাছি যাত্রী তাতে চেপে সফর করতে পারেন।