ফাইল চিত্র।
চড়া মূল্যবৃদ্ধি এবং জিএসটি-র হার বাড়ানোর পাশাপাশি ডলারের নিরিখে টাকার পড়তি দাম নিয়েও ফের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, যে ভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন এবং সংসদের আলোচনা থেকে পালাচ্ছেন, তা ‘অসাংবিধানিক।’ তাঁর হুঁশিয়ারি, বহু শব্দকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী যতই বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করুন, তাঁকে এই সব বিষয়ে জবাব দিতেই হবে।
সাধারণ মানুষের পকেট যখন পণ্যের আগুন দামে পুড়ছে, তখন ডলার ৮০ টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। পড়তি টাকার দামে মূল্যবৃদ্ধির আঁচ বাড়ার আশঙ্কা। চাল, আটা, মুড়ির মতো মানুষের বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের প্যাকেটে কেন্দ্র জিএসটি বসিয়ে দেওয়ায় দামের বোঝা আরও বেড়েছে। সব মিলিয়ে আমজনতার দুর্ভোগ ক্রমশ বাড়ছে। মঙ্গলবার অবশ্য টাকার দাম একটু বাড়ে। ৬ পয়সা পড়ে এক ডলার হয় ৭৯.৯২ টাকা। যদিও লেনদেনের মাঝে এক সময় তা এই প্রথম ৮০.০৫ টাকায় উঠে গিয়েছিল। সংশ্লিষ্ট মহলের ইঙ্গিত, পরিস্থিতি সামলাতে সম্ভবত হস্তক্ষেপ করে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। বাঁচিয়ে দিয়েছে ভারতের শেয়ার বাজারে ৯৭৬.৪০ কোটি টাকার বিদেশি লগ্নিও।
এ দিন টুইটে রাহুলের তোপ, ‘‘টাকা (ডলার দাম) ৮০ টাকা পেরিয়ে গিয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডারের জন্য ১০০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। জুনে দেশে বেকার মানুষের সংখ্যা ১.৩ কোটি। এখন খাদ্যশস্যের উপরে জিএসটি-র বোঝাও চাপিয়ে দেওয়া হল। সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলি তুলে ধরা থেকে কেউ আটকাতে পারবে না আমাদের। সরকারকে জবাব দিতেই হবে।’’ অন্য একটি টুইটে তাঁর কটাক্ষ, সংসদে আলোচনা এবং প্রশ্ন থেকে প্রধানমন্ত্রীর পালিয়ে যাওয়া ‘অসাংবিধানিক’।
ফেসবুক পোস্টেও সরকারকে ‘জুলুমবাজ’ বলে তকমা দেন রাহুল। শব্দ প্রয়োগের অধিকার কেড়ে নিয়ে বিরোধীদের চুপ করিয়ে রাখা যাবে না বলেও দাবি করেন। বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য, রান্নার গ্যাস— সব দামি। তবু মোদী সরকার বলে ‘সব ভাল আছে।’ এর অর্থ, মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের সমস্যা, সরকারের নয়। তাঁর দাবি, অথচ এখনকার প্রধানমন্ত্রীই যখন বিরোধী ছিলেন, তখন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে গলা ফাটাতেন।