Economic Growth

খুচরো ব্যবসার বৃদ্ধির হারে প্রশ্ন

করোনা কাটিয়ে ২০২২ সালে নানা ক্ষেত্রের পাশাপাশি খুচরো ব্যবসা পুনরুজ্জীবনের বার্তা দিয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যেও গ্রামীণ বাজার কতটা চাঙ্গা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:২১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

আর্থিক কর্মকাণ্ডের গতি বৃদ্ধি এবং বৈষম্য কমানোর দাবি ধারাবাহিক ভাবে করে চলেছে মোদী সরকার। কেন্দ্র ও সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলির রিপোর্টেও বারবার ফুটে উঠছে সেই দাবির সমর্থন। কিন্তু বাস্তব কি ততটাই উজ্জ্বল? এই প্রশ্নকে আরও একবার উস্কে দিল দেশের খুচরো ব্যবসার ছবি। এই ক্ষেত্রের সংগঠন আরএআই-এর সমীক্ষা বলছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারির তুলনায় গত মাসে খুচরো ব্যবসায় বৃদ্ধির হার মাত্র ৫%। বস্ত্র-সহ কিছু ক্ষেত্রে চাহিদা বৃদ্ধি নগণ্য।

Advertisement

করোনা কাটিয়ে ২০২২ সালে নানা ক্ষেত্রের পাশাপাশি খুচরো ব্যবসা পুনরুজ্জীবনের বার্তা দিয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যেও গ্রামীণ বাজার কতটা চাঙ্গা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আর নতুন বছরের গোড়ায় সার্বিক ভাবেই খুচরো ব্যবসায় চাহিদার গতি মন্থর হওয়ার লক্ষণ স্পষ্ট। আরএআইয়ের সিইও কুমার রাজাগোপাল বলেন, ‘‘আগের বারের তুলনায় গত জানুয়ারিতে এই ব্যবসার ছবি কিছুটা হতাশাব্যঞ্জক। বিয়ের মরসুমের জন্য গয়না, খাদ্যপণ্য এবং মুদিদ্রব্যের বিক্রি বাড়লেও বাকি সব ক্ষেত্রে চাহিদা মন্থর। অত্যাবশ্যক নয় এমন সব পণ্যের চাহিদায় খামতি স্পষ্ট। ভোগ্যপণ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের বিক্রেতাদের কাছে ব্যবসা বৃদ্ধি ছিল চ্যালেঞ্জ। অনেক জায়গায় জামাকাপড়ের দোকানে ছাড় দেওয়ার হলেও বিক্রি সে ভাবে বাড়েনি।’’

কুমার জানান, যে সব ব্যবসায়ীর একটি দোকান রয়েছে তাঁদের অনেকের ব্যবসা কমেছে। যাঁরা চালুর পাশাপাশি নতুন দোকান খুলেছেন, তাঁদের কিছুটা বিক্রি বেড়েছে। তাঁর বক্তব্য, গত বছরের মতো মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব এখন এই ব্যবসায় নেই। তবে সম্ভবত সুদ বেশি থাকায় ক্রেতাদের ঋণের কিস্তি বা অন্য আর্থিক চাপ রয়েছে। তার পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই গত মাসে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনে কেন্দ্রের দাবি, অদূর ভবিষ্যতে চাহিদা বাড়বে। কিন্তু বিক্রির তথ্য এ বারও তেমন স্বস্তি দিল না খুচরো ব্যবসাকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement