নবান্ন। — ফাইল চিত্র।
তৃণমূল সরকারের আমলে (বিশেষত বিজিবিএসে) রাজ্যে কত লগ্নি প্রস্তাব এসেছে এবং কতটা কার্যকর হয়েছে, বহু দিন থেকেই তা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে নবান্ন। বৃহস্পতিবারও এ ব্যাপারে বিভিন্ন দফতর ও শিল্পমহলের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা। তবে সূত্রের দাবি, শ্বেতপত্র প্রকাশের সময় নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহতই রইল। সূত্র অবশ্য বলছে, ভোটের আগে কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধন করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ১২ মার্চ সব জেলাশাসককে তার প্রস্তুতি নিতে বলেছে নবান্ন।
গত বিজিবিএসগুলিতে বেশ কয়েক লক্ষ কোটি টাকা লগ্নির প্রস্তাব এসেছে বলে রাজ্য দাবি করলেও বিরোধীরা মানতে নারাজ। ক’মাস আগে কোন দফতর কত প্রস্তাব পেয়েছে, তার তথ্য তৈরির নির্দেশ দেয় সরকার। সেই কাজ চলছে। তবে সময় লাগার কারণ নিয়ে জল্পনা আধিকারিক মহলেও। অনেকের যুক্তি, দেশ জুড়েই বড় লগ্নির খরা। সড়ক, পরিকাঠামো, সমুদ্র বা বিমানবন্দর, রেল-মেট্রোর মতো প্রকল্পেও কেন্দ্রের বড় পুঁজি রয়েছে। ফলে সব খুঁটিয়ে দেখে ক্ষেত্র ভাগ করে তথ্যপঞ্জি তৈরি হবে।
এ দিন বৈঠকের পরে লগ্নি নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও তথ্য না মিললেও, আরও নিবিড় ভাবে হিসাব কষতে বলা হয়েছে দফতরগুলিকে। পরামর্শও নেওয়া হয়েছে শিল্পের। তবে সূত্রের দাবি, এই বৈঠকের কথা মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে হঠাৎ রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের বার্তায় জানতে পারে বিভিন্ন বণিকসভা। তাই সবগুলির শীর্ষ কর্তা আসতে পারেননি। পরে নেওটিয়া গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে লগ্নি সংক্রান্ত কমিটির শীর্ষ কর্তা হর্ষ নেওটিয়া জানান, প্রতিটি ক্ষেত্র ধরে বিশদে ফের এমন আলোচনা হবে।
মার্চেন্টস চেম্বারের কর্তা লাভেশ পোদ্দার বৈঠকে হলদিয়ায় আরও বেশি ছোট শিল্প (এমএসএমই) প্রসারে সরকারি উদ্যোগের কথা বলেন। সূত্রের দাবি, আরও দ্রুত প্রকল্পের বিভিন্ন ছাড়পত্র ও সরকার ঘোষিত আর্থিক সুবিধা ঠিক মতো পাওয়া নিয়ে পদক্ষেপের পক্ষেও সওয়াল করেছে শিল্প মহলের একাংশ।