গ্রেট ইস্টার্ন রিটেইল-এর খোলনলচে বদলে দিয়েছেন পুলকিত বেদ
দুরদর্শন থেকে হাতের মুঠোফোন, রেফ্রিজারেটর থেকে ওয়াশিং মেশিন, ঘর পরিষ্কারের যন্ত্র থেকে মাইক্রোওভেন, বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম বিক্রিতে কলকাতা তথা গোটা বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে গ্রেট ইস্টার্ন। কেমন ছিল তাদের পথ চলা? জানালেন সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পুলকিত বেদ।
পুলকিত জানালেন পুরনো সেই দিনের কথা। যখন শুরু হয়েছিল গ্রেট ইস্টার্নের পথ চলা। কলকাতার ধর্মতলা চত্ত্বরে গ্রেট ইস্টার্ন হোটেলের বিপরীতে চালু হয়েছিল প্রথম আউটলেট। ল্যান্ডমার্ক বলতে গ্রেট ইস্টার্ন হোটেল। সেখান থেকেই এই নাম।
প্রথম থেকে লক্ষ্য ছিল বাজারের থেকে কম দামে, গ্রাহকদের হাতে ভাল মানের পণ্য তুলে দেওয়া। দাদুর দেখানো সেই পথেই শুরু হয়েছিল ব্যবসা। আজ গ্রেট ইস্টার্নের নাম প্রত্যেকের ঘরে ঘরে। পুলকিত জানালেন, আজ যখন মানুষ বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম কেনার কথা ভাবে, তাদের মাথায় প্রথমেই আসে গ্রেট ইস্টার্নের নাম। কারণ সবাই জানে, এখানে যে দামে ভাল ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট পাওয়া যায়, অন্য কোথাও ওই একই দামে একই প্রোডাক্ট পাওয়া বেশ মুশকিল।
সময় যতই কঠিন হোক না কেন, গ্রাহকদেরকে একইভাবে পরিষেবা দিয়ে গিয়েছে গ্রেট ইস্টার্ন। কোভিডের সময় যখন দেশ জুড়ে লকডাউন চলছে, তখনও সেই পরিস্থতি শক্ত হাতে সামলেছেন পুলকিত। এমনিতেই দোকান বন্ধ। গ্রাহকেরা বাড়িতে বসে রয়েছেন। সেই পরিস্থিতিতে বাড়িতে বসেই প্রত্যেক গ্রাহকদের ফোন করা হয়েছিল। ফোন করার উদ্দেশ্য ছিল গ্রাহকদের খবরাখবর নেওয়া। প্রয়োজনে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। পুলকিত জানালেন, কোভিডে বহু বয়স্ক মানুষের সঙ্গে আমরা কথা বলেছিলাম। জানতে পেরেছিলাম যে তাঁদের বাড়িতে ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার মতোও কেউ নেই। আমরা তাঁদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। এতে গ্রেট ইস্টার্নের প্রতি মানুষের বিশ্বাস বেড়েছে। এমনকী মে মাসের গরমে যখন মানুষ ফ্রিজ বা এসির কিনতে চাইছিলেন কিন্তু পারছিলেন না, আমরা তাঁদের বাড়ি গিয়ে ভোরবেলা বা মধ্যরাতে সেগুলি পৌঁছে দিয়ে এসেছিলাম। আসলে সময় খারাপ হতেই পারে। কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের উচিত সেই সময়কে দায়িত্ব নিয়ে বদলে ফেলা।
এই সময়ে দাঁড়িয়েই আরও ভালভাবে শুরু হয় অনলাইন পরিষেবা। অর্ডার করার ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যে প্রোডাক্ট পৌঁছে যেত গ্রাহকের ঘরে ঘরে। এর ফলে আমাদের প্রতি মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা বেড়েছিল।
প্রতি বছরেই বিয়ের মরসুমে বিক্রি বেড়ে য়ায়। এই বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বাঁধ সেধেছিল কোভিড। তবে বিধি নিষেধ কম হতেই গ্রাহকদের পরিষেবা দিতে প্রস্তুত প্রতিটি স্টোর। আগমী দিনে গ্রেট ইস্টার্নকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে নতুন ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছেন পুলকিত বেদও।