—প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর। জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড বা জিপিএফের টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে কাটতে চলেছে যাবতীয় জটিলতা। অবসরের পর কী ভাবে দ্রুত এই তহবিলের অর্থ তুলে নেওয়া যাবে, তা এ বার স্পষ্ট করল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে অর্থ মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন পেনশন এবং পেনশনপ্রাপকদের কল্যাণকারী দফতর। সেখানেই জিপিএফ সংক্রান্ত একগুচ্ছ নতুন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়ে কর্মচারীদের মধ্যে একাধিক প্রশ্ন রয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে তার যাবতীয় উত্তর তুলে দেওয়া হয়েছে।
নতুন নির্দেশাবলিতে অবসর নিতে চলা কর্মচারীদের তালিকা তৈরি থেকে শুরু করে পেনশন পেমেন্ট অর্ডার (পিপিও) জারি করা পর্যন্ত, প্রতিটা পর্যায়ের কাজ দ্রুত এবং সময় মতো করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। অবসরের পর জিপিএফ পেতে দেরি হলে, সুদ বাবদ অতিরিক্তি কত অর্থ মিলবে, এ বার থেকে তা-ও জানিয়ে দেবে অর্থ মন্ত্রক।
১৯৬০ সালের প্রভিডেন্ট ফান্ডের ৩৪ নম্বর ধারায় বলা রয়েছে, কোনও কর্মচারীর অবসরের সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর জমানো জিপিএফের টাকা অ্যাকাউন্টস অফিসারকে দিয়ে দিতে হবে। উল্লেখ্য, প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমানো টাকাকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর নিজস্ব সম্পত্তি বলে বিবেচনা করা হয়। কোনও কিছুর জন্যেই এটিকে আটকে রাখা যাবে না। নয়া নির্দেশিকায় স্পষ্ট করেছে কেন্দ্র।
প্রভিডেন্ট ফান্ড আইনের ১১(৪) নম্বর ধারা অনুযায়ী, যদি কোনও কর্মচারীকে অবসরের সময়ে টাকা দেওয়া না যায়, সে ক্ষেত্রে সঞ্চিত অর্থের উপর সুদ দিতে হবে। অবসরের পর সর্বোচ্চ ছ’মাস পর্যন্ত এই বর্ধিত সুদের সুবিধা পাবেন সংশ্লিষ্ট কর্মচারী। ছ’মাসের পরও যদি জিপিএফের টাকা দেওয়া না যায়, তখন সঞ্চিত অর্থের উপর সুদ পেতে কন্ট্রোলার অফ অ্যাকাউন্টসের অনুমোদন লাগবে। নতুন নির্দেশিকায় এই নিয়ম মানতে বলা হয়েছে।