ফাইল চিত্র।
জীবন বিমার চুক্তির সময়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থা গ্রাহকের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে যে সমস্ত তথ্য জানতে চায়, প্রত্যেকের উচিত তা পরিষ্কার ভাবে জানানো। কারণ, বিমা সংস্থা ও গ্রাহকের সম্পর্ক পুরোপুরি বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে থাকে— এক মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, গ্রাহকের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই সংস্থা প্রকল্প বিক্রির ঝুঁকি যাচাই করে।
২০১৪ সালের অগস্টে জীবন বিমার পলিসি কেনেন এক ব্যক্তি। এক মাস পরেই তাঁর মৃত্যু হয়। বিমা সংস্থার বক্তব্য, আগে থেকে থাকা (প্রি-এগ্জ়িস্টিং) অসুখ সম্পর্কে তথ্য গোপন করেছিলেন গ্রাহক। সে কারণে নমিনিকে দাবির টাকা দিতে অস্বীকার করে সংস্থাটি। নমিনি জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করলে আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেয়। বিমা সংস্থাও নির্দেশ অনুযায়ী টাকা মিটিয়ে দেয়। যদিও এর পরে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সংস্থাটি। ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের রায়কে খারিজ করে শীর্ষ আদালত।
গ্রাহকের জীবন বিমার নমিনি ছিলেন তাঁর মা। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, প্রবীণ ওই মহিলা আর্থিক ভাবে সন্তানের উপরেই নির্ভরশীল ছিলেন। তাই পরিস্থিতি বিবেচনা করে যেন বিমা সংস্থা তাঁর থেকে টাকা ফেরত না-নেয়। তবে সমস্ত গ্রাহকেরই কর্তব্য বিমার পলিসি কেনার সময়ে প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য পরিষ্কার ভাবে জানানো।