প্রতীকী ছবি
মোবাইল, চটি-জুতো, রাসায়নিক সার ও বস্ত্র শিল্পের বিভিন্ন পণ্যে জিএসটি বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আমলাদের কমিটি। আগামী শনিবার তা নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছে জিএসটি পরিষদ। কমিটির প্রস্তাব, মোবাইলে কর ১২% থেকে বাড়িয়ে ১৮% করা হোক, ১০০০ টাকা পর্যন্ত দামের চটি বা জুতো জোড়ায় তা ৫% থেকে হোক ১২%, রাসায়নিক সারে ৫% থেকে ১২%। ফলে স্মার্টফোনের সঙ্গে সাধারণ মোবাইলের দামও বাড়তে পারে।
কমিটির যুক্তি, ওই পণ্যগুলির ক্ষেত্রে আসল পণ্যের তুলনায় কাঁচামালে জিএসটি বেশি। ফলে সংস্থাগুলি পণ্যটিতে জিএসটি বাবদ যত কর মেটায়, কাঁচামালে মেটানো কর বাবদ তার থেকে বেশি ছাড় দাবি করছে। তাই কর বাড়া উচিত।
এ দিকে সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই জিএসটি ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের কোর্টে বল ঠেলবে কেন্দ্র। যে ক্ষতিপূরণের টাকা অর্থ মন্ত্রক তাদের ঠিক মতো না-মেটানোয় চূড়ান্ত অসুবিধায় পড়ার অভিযোগ তুলেছে রাজ্যগুলি। সূত্রের দাবি, শনিবার কেন্দ্র রাজ্যগুলির থেকে জানতে চাইবে, কী ভাবে জিএসটি থেকে আয় বাড়ানো সম্ভব। রাজ্যগুলি কী ভাবে জিএসটি থেকে আয় বাড়াতে পারে, তা নিয়েও মত চাওয়া হবে। রাজ্যগুলির জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাকি ফেলার অভিযোগের জবাবে কেন্দ্র এর আগেও বলেছে, কর আদায় কমছে। কম সংগ্রহ হচ্ছে সেস। তাই আটকে যাচ্ছে ক্ষতিপূরণ। উল্লেখ্য, অক্টোবর-নভেম্বরের ১৪,০৩৬ কোটি টাকা ও ডিসেম্বর-জানুয়ারির ৩৩,৯৪৬ কোটি এখনও বকেয়া আছে।
তলব নিলেকানিকে: ইনফোসিস পরিচালিত জিএসটি নেটওয়ার্কে ১৭টি জায়গায় সমস্যা খুঁজে পেয়েছে অর্থ মন্ত্রক। দ্রুত তা মেটাতে সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। শনিবারের বৈঠকে চেয়ারম্যান নন্দন নিলেকানিকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।