—প্রতীকী চিত্র।
মাত্র ২৫ দিনের ব্যবধান। জিএসটি বাদে আবার ৬৪,০০০ টাকার ঘরে ঢুকল খুচরো পাকা সোনার (১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাট) দর। বুধবার তা বাড়ল আগের দিনের চেয়ে ১৫০ টাকা। কর যোগ করলে দাম ৬৬,০০০ টাকার কাছাকাছি (৬৫,৯২০ টাকা)। হলুদ ধাতুটির দামের এই দৌড় ফের কাঁপুনি ধরাচ্ছে স্বর্ণ শিল্প মহল তথা ক্রেতাদের মনে। জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় দফার বিয়ের মরসুম। তার আগে চলতি মাসের মাঝামাঝি দর কিছুটা নামায় যে সামান্য স্বস্তি ক্রেতারা পেয়েছিলেন, সেটাও উধাও হতে চলেছে বছর শেষে গিয়ে। ফলে কেনাকাটার ভবিষ্যৎ নিয়ে ফের আশঙ্কা ঘনাচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহলে।
গত ২ ডিসেম্বর খুচরো পাকা সোনা পৌঁছেছিল ৬৪,২০০ টাকায়। কর যোগ করলে আরও বেশি। তবে তার পর থেকে দাম পড়তে থাকে। ১৩ ডিসেম্বর তা নেমে আসে ৬১,৮৫০ টাকায়। এখন দাম ফের উঠছে। বুধবার পাকা সোনার বাট (১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাট) দাঁড়িয়েছে ৬৩,৭০০ টাকা। আর হলমার্ক গয়নার সোনা ৬০,৮৫০ টাকা। রুপোর বাট অবশ্য মঙ্গলবারের চেয়ে ১০০ টাকা কমে কেজিতে হয়েছে ৭৪,৮৫০ টাকা। আর খুচরোর দর দাঁড়িয়েছে ৭৪,৯৫০ টাকা।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, বড়দিনের সময়ে সাধারণ ভাবে বাজারে সোনার চাহিদা কম থাকে। বিশ্ব জুড়ে ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার একেবারে অবসান না ঘটলেও তার মাত্রা কিছুটা স্থিতিশীল। এ সব সত্ত্বেও গত কয়েকদিন ধরে অল্প অল্প করে চড়ছিল হলুদ ধাতুটির দাম। তার মূল কারণ লগ্নির গন্তব্য হিসেবে এর চাহিদা বৃদ্ধি।
জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের আঞ্চলিক চেয়ারম্যান পঙ্কজ পারেখের মতে, ভবিষ্যতে সোনার দাম আরও বাড়বে, সেই ভরসায় এতে লগ্নি করছেন অনেকে। তার উপরে বর্তমানে শেয়ার বাজার নজির গড়ছে। এই অবস্থায় ঝুঁকি কমাতে লগ্নি তহবিলের একাংশ সোনা কিনতে ব্যবহার করছেন বিনিয়োগকারীরা। এই সবই তার দামকে ঠেলে তুলছে।
আপাতত মাসের শুরুতে গড়া নজির ভেঙে ডিসেম্বরের বাকি ক’দিনে সোনা নতুন শিখরে পৌঁছয় কি না, সে দিকেই নজর সকলের।