—প্রতীকী চিত্র।
ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত ও অস্থিরতার জেরে ফের বিশ্ব বাজারে ঊর্ধ্বমুখী অশোধিত তেলের দাম। শুক্রবার বাজার বন্ধ হওয়ার পরে সোমবার সপ্তাহের গোড়াতেই ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রায় ১১% বাড়ল। ১২.৫% বেড়েছে আমেরিকার অশোধিত তেল ডব্লিউটিআইয়ের দামও। দামের গতির এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে বিশ্ব জুড়ে জ্বালানির বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
অতিমারির আবহে বিপুল বেড়েছিল অশোধিত তেলের দাম। পরে আবার অবশ্য দর অনেকটা নেমেও আসে। এই ওঠাপড়ার মাঝে ভূ-রাজনৈতিক নানা অস্থিরতার প্রভাবপড়ে বিশ্ব বাজারে তেলের দামে। এ দিন ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেল প্রতিএক সময়ে ৮৬ ডলার ছাড়িয়ে যায়। পরে দর সামান্য কমে ৮৬ ডলারের আশপাশেই ঘোরাফেরা করে। ডব্লিউটিআইয়ের দর এক সময় ছাড়ায়ব্যারেল প্রতি ৮১ ডলার। মূলত রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘাত ও পশ্চিম এশিয়ায় অস্থিরতার জেরেই এই পরিস্থিতি বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টমহল। নিসান সিকিউরিটিজ়ের শাখাএনএস ট্রেডিংয়ের প্রেসিডেন্ট হিরোয়ুকি কিকুকাওয়া বলেন, রাশিয়ারজ্বালানি কেন্দ্র ও ইউক্রেনের জ্বালানিপরিকাঠামোয় আক্রমণ, ইজ়রায়েল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আশা কিছুটা ম্লান হওয়া ইত্যাদি বিশ্ব জুড়ে তেলের জোগানে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দরের প্রভাব ভারতে পড়বে কি না, তা নিয়েও চর্চা রয়েছে। ভোটের মুখে সম্প্রতি লিটার পিছু পেট্রল-ডিজ়েলের দাম ২ টাকা করে কমানোর কথা জানিয়েছিলেন তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। যদিও ভোটের সঙ্গে তেল সংস্থাগুলির সেই সিদ্ধান্তের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছিল সরকার। গত বছর অনেকটা সময় অশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৭০-৮০ ডলারের মধ্যে ঘোরাফেরা করলেও ভারতে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। কমেনি জ্বালানির দাম। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের দাবি, অতীতের অভিজ্ঞতা বলছে, অশোধিত তেলের দাম বাড়লে ভারতেও দ্রুত তার প্রভাব পড়ে। ভোট পর্ব মিটলেও যদি অশোধিত তেলের দর ঊর্ধ্বমুখী থাকে, তখন দেশে পেট্রল-ডিজ়েলের দর কোন পথে হাঁটে সেটাই দেখার।