প্রতীকী ছবি।
বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাসের পরে এ বার ফের বাড়ল বিমান-জ্বালানি এটিএফের দর। চলতি বছরে এ নিয়ে একটানা ন’বার। এ দফায় দর বেড়েছে ৩.২২%। যার হাত ধরে কলকাতায় এক কিলোলিটারে জ্বালানিটির দাম ছুঁয়ে ফেলেছে ১,২১,৪৩০.৪৮ টাকা। যা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা সূত্রের দাবি, বিশ্ব বাজারে জ্বালানির চড়া দামের প্রভাবই পড়ছে দেশে। আর সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এটিএফের দর যে ভাবে ছুটছে, তাতে সমস্যায় পড়ছে বিমান সংস্থাগুলি। যাদের খরচের প্রায় ৪০ শতাংশই জ্বালানি খাতে। এর জেরে বিমান ভাড়ার উপরে প্রভাব পড়বে কি না, সেই প্রশ্নও তৈরি হচ্ছে নতুন করে।
রবিবারই শিল্প মহলের পরিসংখ্যান জানিয়েছে, বিমান ক্ষেত্র পুরোদস্তুর খোলার হাত ধরে এপ্রিলে এটিএফের বিক্রি বাড়লেও, চড়া দামের জেরে গত মাসে দেশে ধাক্কা খেয়েছে তেলের বিক্রি বৃদ্ধি। তেমনই রেকর্ড দামের কারণে প্রভাব পড়েছে রান্নার গ্যাসের বিক্রির উপরেও। উপরন্তু পেট্রল-ডিজ়েলের দর বেশ কিছু দিন ধরে এক জায়গায় থাকলেও, রবিবার থেকে কলকাতায় ১৯ কেজির বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম আরও ১০৩.৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ২৪৫৫ টাকা। গৃহস্থের ১৪.২ কেজির সিলিন্ডার রয়েছে ৯৭৬ টাকায়। এর ধাক্কা যে আগামী দিনে শেষ পর্যন্ত আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের গায়ে এসেই লাগবে, সেটাও মনে করিয়ে দিচ্ছে একাংশ। কারণ, হোটেল-রেস্তরাঁয় খাওয়ার বা বিমানে চড়ার খরচ বৃদ্ধির আশঙ্কা।
গ্যাসের এই দর বৃদ্ধি নিয়ে রবিবার ফের মোদী সরকারকে তোপ দেগেছে কংগ্রেস। দলের নেত্রী অলকা লাম্বার অভিযোগ, মানুষ কাজ হারাচ্ছেন। এমনকি কাজ খোঁজাও ছাড়ছেন। অথচ কেন্দ্র আসল সমস্যায় নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে এবং দাম বাড়াচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধিতে নজর দিচ্ছে না। অবিলম্বে বর্ধিত দাম প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে বিরোধী দলটি। সেই সঙ্গে কয়লা সঙ্কটের জন্যও প্রধানমন্ত্রীকে তোপ দেগেছেন তিনি।