ফের সরাসরি দাম কমলো পাইকারি বাজারে। এই নিয়ে টানা আট মাস। মঙ্গলবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে জুন মাসে পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে হিসাব করা মূল্যবৃদ্ধির হার শূন্যের চেয়ে নেমে গিয়েছে ২.৪০%। মে মাসে তা ছিল ২.৩৬%। যার অর্থ দাম বাড়েনি, তা সরাসরি কমেছে।
জুনে মূলত শাক-সব্জির দাম কমার হাত ধরেই সার্বিক ভাবে দর আরও নেমেছে। তবে ডাল ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ২০১৪-র জুনে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৫.৬৬%। তবে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি ইতিমধ্যেই বেড়ে জুনে ছুঁয়েছে ৫.৪%।
সার্বিক মূল্যবৃদ্ধি শূন্যের আরও নীচে নামলেও তা যে শেয়ার বাজারকে খুশি করতে পারেনি, তার কারণ এই খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি, বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্যের। আর এর জেরে টানা দু’দিন ওঠার পরে মঙ্গলবার সূচক সামান্য হলেও পড়েছে। এ দিন সেনসেক্স ২৮ পয়েন্ট কমে বাজার বন্ধের সময়ে থামে ২৭,৯৩২.৯০ অঙ্কে। এর আগে টানা দু’দিনের লেনদেনে সূচকের উত্থান ৩৮৭.৫৩ পয়েন্ট। এ দিকে আগের দিন ১৩ পয়সা পড়ার পরে এ দিন ডলারে টাকার দাম ফের ১৩ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৩.৩৯ টাকা।
তবে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি বাড়ায় কপালে ভাঁজ পড়েছে শিল্প-মহলের। তাদের আশা ছিল, দেশের আর্থিক অবস্থার নানা দিক বিবেচনা করে আগামী ঋণনীতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ কমাতে পারে। কিন্তু এ বার তারা সেই রাস্তায় হাঁটবে কি না, তা নিয়েই সংশয়। সি আই আইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মূল্য স্তর প্রায় একই জায়গায় দাঁড়িয়ে। ফলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উচিত সুদ আরও কমিয়ে আনা।