প্রতীকী চিত্র।
সম্প্রতি দেশের প্রথম মেট্রোপলিটন শহর হিসেবে মুম্বইয়ে ১০০ টাকার গণ্ডি পার করেছে প্রতি লিটার পেট্রলের দর। যা হয়েছে আরও কয়েকটি ছোট-বড় শহরে। পাল্লা দিয়ে দৌড়চ্ছে ডিজেলও। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠছে, উৎপাদন শুল্ক কমিয়ে সাধারণ মানুষকে তেলের দামে কিছুটা সুরাহা দিক তারা। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির তথ্য অনুযায়ী, মে মাসে দেশে দুই পরিবহণ জ্বালানির বিক্রি মাথা নামিয়েছে। যার জেরে সংশ্লিষ্ট মহলে তৈরি হয়েছে নতুন আশঙ্কা। তাদের ব্যাখ্যা, এই অবস্থায় তেলের দাম কমার সম্ভাবনা আদতে আরও কমল। কারণ, চাহিদা এবং বিক্রি দুই-ই যদি কমে তা হলে রাজস্ব আদায় মাথা নামাবে। যা সামাল দেওয়া এই মুহূর্তে কেন্দ্রের পক্ষে সম্ভব নয়।
এ দিন তেল সংস্থাগুলি জানিয়েছে, গত মাসে পেট্রল-ডিজেলের বিক্রি আগের মাসের তুলনায় ১৭% কমেছে। পেট্রল বিক্রি হয়েছে ১৭.৯ লক্ষ টন। যা এক বছর আগে পূর্ণ লকডাউনের সময়ের তুলনায় ১৩% বেশি হলেও করোনার আগের সময়ের তুলনায় বিপুল কম। ডিজেল বিক্রি হয়েছে ৪৮.৯ লক্ষ টন। যা ২০১৯ সালের মে মাসের তুলনায় ৩০% কম। বিমানের জ্বালানিও এপ্রিলের তুলনায় ৩৪% কমেছে।
বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে দেশে জ্বালানির দাম ১৭ দিন বেড়েছে। মুম্বইয়ে এ দিন পেট্রল ও ডিজেল বিক্রি হয়েছে যথাক্রমে ১০০.৭২ টাকা এবং ৯২.৬৯ টাকায়। রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগরে তা ছিল ১০৫.৫২ টাকা এবং ৯৮.৩২ টাকা। দেশে সর্বোচ্চ।