Job

Job: চাকুরিজীবীদের কাজের বাজার শ্লথ

পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, অগস্টে যে ৫৭ লক্ষ কাজ হারিয়েছে তার ৩৭ লক্ষ শহরে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:২৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

অতিমারির ধাক্কায় বিধ্বস্ত কাজের বাজার একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বটে। কিন্তু চাকুরিজীবী মহলের ক্ষেত্রে তার গতি অত্যন্ত শ্লথ বলে জানাল উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-এর রিপোর্ট। উদ্যোগপতিদের ক্ষেত্রেও ছবিটা উজ্জ্বল নয় বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে
তারা। তুলনায় কর্মসংস্থান পরিস্থিতি কিছুটা ভাল দিনমজুর, ছোট ব্যবসায়ী এবং কৃষিকাজে যুক্ত মানুষদের ক্ষেত্রে।

Advertisement

সিএমআইই-র এমডি-সিইও মহেশ ব্যাস জানান, করোনা হানার আগের বছর, অর্থাৎ ২০১৯-২০ সালের তুলনায় এ বার অগস্টে দেশে কর্মসংস্থান ৫৭ লক্ষ কম। অতিমারির প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার পরে লকডাউনের জেরে কাজের বাজারের যে চেহারা ছিল, তার থেকে এই সংখ্যা কম ভয়ঙ্কর। কিন্তু সংস্থার দাবি, বিধ্বস্ত অবস্থা কাটিয়ে ছন্দে ফেরার প্রক্রিয়াটা সব ক্ষেত্রে সমান নয়। বিশেষত চাকুরিজীবী এবং উদ্যোগপতিদের ক্ষেত্রে তা এখনও এবড়োখেবড়ো।

উপদেষ্টা সংস্থাটির হিসাবে, অগস্টে ৮৮ লক্ষ চাকুরিজীবী এবং ২০ লক্ষ উদ্যোগপতি কাজ হারিয়েছেন। তবে তার ছাপ সামগ্রিক কর্মসংস্থানে পড়েনি। কারণ, কৃষি, দিনমজুর এবং ছোট ব্যবসার কাজে যোগ দিয়েছেন আরও প্রায় ৪৭ লক্ষ কর্মী। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এক জায়গায় কাজ বৃদ্ধির হাত ধরে অন্য জায়গায় হারানো কাজের কিছুটা পুষিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে যে প্রবল বৈষম্য বহাল, সেটা এই হিসাবে পরিষ্কার। মহেশ বলছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বেতনভুক কাজকর্ম বৃদ্ধির পথে প্রভাব না-ফেললেও কাজের বাজারের এই অংশটির ছন্দে ফেরার প্রক্রিয়া বেশি মাত্রায় শ্লথ। তুলনায় আচমকা গতি আসার ইঙ্গিত গ্রামাণ কর্মসংস্থানে।

Advertisement

পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, অগস্টে যে ৫৭ লক্ষ কাজ হারিয়েছে তার ৩৭ লক্ষ শহরে। কর্মসংস্থানের ৩২ শতাংশই যে শহরে হয়, করোনার পরে সেখানেই উধাও হয়েছে ৬৫% কাজ। তার চেয়ে গ্রামীণ এলাকা অনেক দ্রুত মাথা তুলছে। সেখানে কাজ হারানোর সংখ্যা মাত্র ১৯ লক্ষ। সিএমআইই-র দাবি, কৃষি ক্ষেত্রই বাঁচিয়ে দিয়েছে তাদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement