বুধবার ৬জি প্রযুক্তির রূপরেখা প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল ছবি।
দেশে ৫জি প্রযুক্তি চালু হয়েছে মাস ছয়েক হল। সব জায়গায় তা এখনও আসেওনি। তার মধ্যেই ৬জি প্রযুক্তি আনার প্রস্তুতি শুরু করল কেন্দ্র। বুধবার তার রূপরেখা প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই অনুষ্ঠানে ভারতে রাষ্ট্রপুঞ্জের আওতাভুক্ত, বিশ্ব জুড়ে টেলি-যোগাযোগের মান সংক্রান্ত বিষয়ে সমন্বয়সাধনকারী সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) দফতর এবং উদ্ভাবন কেন্দ্রও উদ্বোধন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, ৫জি চালুর পরে এত দ্রুত ৬জি প্রস্তুতিই বলে দেয় ভারত কতটা আত্মবিশ্বাসী। এর রূপরেখা অনুসরণ করে দেশে তো বটেই, প্রযুক্তিটির বড় রফতানিকারী হওয়ার দিকেও দ্রুত এগোচ্ছে দেশ। ভবিষ্যতে আইটিইউ-র দফতরের মাধ্যমে দেশে ৬জি চালুর পরিবেশ তৈরি করা যাবে বলে আশা তাঁর। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ অবশ্য রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএলের এখনও ৪জি প্রযুক্তি চালু করতে না পারা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
উল্লেখ্য, ৫জি প্রযুক্তিতে দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা মেলে। যার গতি সাধারণত সেকেন্ডে ৪০-১১০০ মেগাবিট। সর্বোচ্চ ক্ষেত্রে পৌঁছতে পারে ১০,০০০ মেগাবিটে। আর ৬জি প্রযুক্তিতে সেকেন্ডে নেটের গতি হতে পারে ১ টেরাবিট। যা কিনা ৫জি-র থেকে ১০০০ গুণ দ্রুত।
প্রযুক্তিকে দেশের সব প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ দিন বিশ্বাস এবং ব্যাপ্তিতে ভরসা রাখার বার্তাও দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, এর জোরেই ২০১৪ সালে ২৫ কোটি থেকে এখন নেট পরিষেবা পৌঁছেছে ৮৫ কোটি মানুষের কাছে। ডিজিটাল অর্থনীতি এগোচ্ছে সার্বিক অর্থনীতির থেকেও ২.৫ গুণ বেশি গতিতে।