প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
তৃতীয় মোদী সরকার শরিক দলের উপরে নির্ভরশীল হওয়ায় বাজেটে শুধু বিহার-অন্ধ্রপ্রদেশই টাকা পেয়েছে, বাকি সব রাজ্য বঞ্চিত— বিরোধীদের এই অভিযোগের ধাক্কায় বাজেটের গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা ধামাচাপা পড়েছে বলে মনে করছে বিজেপি। দলের নেতৃত্ব প্রথমে মন্ত্রী-সাংসদদের প্রচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল। এ বার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ময়দানে নামছেন। মঙ্গলবার বণিকসভা সিআইআইয়ের অনুষ্ঠানে ‘বিকশিত ভারতের দিকে যাত্রা’-র জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা বোঝাবেন তিনি। সাধারণত বাজেট পেশের পরে অর্থমন্ত্রী এই দায়িত্ব পালন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বক্তব্য, ২০৪৭-এ উন্নত অর্থনীতির লক্ষ্যে এই বাজেটে আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গি এবং তাতে শিল্পমহলের ভূমিকা তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, কর্মসংস্থানের ঘোষণাগুলি রূপায়ণের জন্য শিল্পের সাহায্য প্রয়োজন। তাই মোদী নিজেই বণিকসভার সঙ্গে কথা বলবেন।
বিরোধীরা বলছেন, সংসদে বাজেট-বিতর্ক চলছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এখনও জবাব দেননি। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তের কারণ, তিনি বুঝতে পারছেন বাজেট জনমানসে ছাপ ফেলতে পারেনি। তাই তাঁকেই প্রচারে নামতে হচ্ছে।