PM Narendra Modi

ভোটের পরে অনেক কাজ, বার্তা মোদীর

প্রধানমন্ত্রী জানান, বদলে যাওয়া সময়ের দাবিকে মাথায় রেখে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার কাঠামো তৈরি করতে হবে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ককে। দেশের আর্থিক বৃদ্ধিতে পুঁজির চাহিদা পূরণের জন্য সকলকে চিন্তাভাবনা করতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:১৬
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ৪০০ আসন পার করার লক্ষ্য নিয়ে প্রচার শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার মুম্বইয়ে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ৯০ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্মারক বক্তৃতাতেও আত্মবিশ্বাসী শোনাল তাঁকে। সরকারি কর্তাদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, নতুন সরকার শপথ নেওয়ার পরেই কাজের জোয়ারের মুখোমুখি হতে হবে তাঁদের।

Advertisement

এ দিন মোদী একটু হাল্কা ভাবেই বলেন, ‘‘আগামী ১০০ দিন আমি নির্বাচনে ব্যস্ত থাকব। আপনাদের হাতে অঢেল সময় রয়েছে। আপনারা ভেবে রাখুন। কারণ, শপথ গ্রহণের পর দিন থেকেই প্রচুর কাজ আসতে শুরু করবে।’’ প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার সময়ে দর্শকাসনে ছিলেন শিল্পপতি মুকেশ অম্বানী, আনন্দ মহিন্দ্রা, টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের শীর্ষ কর্তারা। এই কথায় সকলে হেসে ওঠেন এবং হাততালি দেন। এই প্রসঙ্গে অনেকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এর আগে মোদী আমলাদের বলেছিলেন, এখন আমার কাজ আপনাদের ছুটি। তাই হোম টাস্ক দিচ্ছি। কংগ্রেসের অভিযোগ, সরকারি অনুষ্ঠানেও ভোটের প্রচার করতে ছাড়ছেন না মোদী।

প্রধানমন্ত্রী জানান, বদলে যাওয়া সময়ের দাবিকে মাথায় রেখে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার কাঠামো তৈরি করতে হবে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ককে। দেশের আর্থিক বৃদ্ধিতে পুঁজির চাহিদা পূরণের জন্য সকলকে চিন্তাভাবনা করতে হবে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে ব্যাঙ্ক খোলার লাইসেন্স দেওয়ার কথা না বললেও শিল্পপতিদের উপস্থিতিতে তাঁর এই বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। এই তত্ত্বের পক্ষে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা বলছেন, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে গেলে সমস্ত ক্ষেত্রেই বিপুল পুঁজির প্রয়োজন হবে। যার একটি অংশ আসবে ঋণের মাধ্যমে। কম সুদে সেই পুঁজি সরবরাহ করতে হলে কর্পোরেট সংস্থাকে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে আসতে দেওয়া ছাড়া গতি নেই। অতীতে অবশ্য রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন এ ক্ষেত্রে স্বার্থের সংঘাতের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শীর্ষ ব্যাঙ্কের কর্তাদের উদ্দেশে আরও জানান, আগামী এক দশকে আর্থিক বৃদ্ধির দিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি বৈঠক শুরুর ঠিক আগে এই বক্তব্যকেও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। যখন মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে আনাকেই পাখির চোখ করে এগোনোর কথা বলছেন গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য

১০ বছরে দেশকে আর্থিক ভাবে আত্মনির্ভর করা।

বিপুল কর্মসংস্থান।

দ্রুত বৃদ্ধিতে জোর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement