Provident Fund

পিএফের ৮.৫% সুদ হয়তো একলপ্তে এ মাসেই

সরকারির সূত্রে খবর, করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের জেরে বাজার অনিশ্চিত ছিল বলেই পরিকল্পনা থাকলেও এর আগে কোনও ইটিএফ ভাঙানো হয়নি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৫৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

কথা ছিল দু’ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে গত অর্থবর্ষের (২০১৯-২০) জন্য ধার্য কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের (ইপিএফ) সুদ। প্রথম দফায় ৮.১৫%, আর ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ০.৩৫%। কিন্তু সূত্রের ইঙ্গিত, শেয়ার সূচক যে ভাবে নাগাড়ে দৌড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পা রেখেছে, তাতে পিএফ কর্তৃপক্ষ (ইপিএফও) এ মাসের শেষে একসঙ্গে পুরো ৮.৫% সুদই দিয়ে দিতে পারেন পিএফের প্রায় ছ’কোটি সদস্যকে।

Advertisement

এর আগে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, ইপিএফে প্রস্তাবিত ৮.৫০% সুদ বোধহয় কমবে। কারণ সরকারি সূত্রে খবর ছিল, করোনাকালে রাজকোষে টাকা-পয়সায় টানাটানির দোহাই দিয়ে অর্থ মন্ত্রক তার অনুমোদন ঝুলিয়ে রেখেছে অতটা সুদ দেওয়া মুশকিল বলে ইঙ্গিত দিয়ে। শেষ পর্যন্ত গত সেপ্টেম্বরে ইপিএফও-র অছি পরিষদের বৈঠকে তা ৮.৫০ শতাংশেই বহাল রাখা হয়। তবে নজিরবিহীন ভাবে দু’ভাগে সুদ মেটানোর সিদ্ধান্ত হয়। শ্রম মন্ত্রক জানায় ৮.১৫% মেটানো হবে তখনই, ঋণপত্রে পিএফের তহবিল লগ্নি করে হওয়া আয় থেকে। আর ০.৩৫% ডিসেম্বরের মধ্যে, শেয়ার বাজারে ইটিএফে (এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) খাটানো পিএফ তহবিলের রোজগার থেকে।

ক্ষুব্ধ কর্মী ইউনিয়নগুলির প্রশ্ন ছিল, এ ভাবে কৌশলে সুদ কম দেওয়ার ব্যবস্থাই করে রাখা হল না তো? কারণ, পিএফ তহবিলের একাংশ শেয়ার বাজারে খাটে ঠিকই, তবে এর আগে কখনওই সুদের সঙ্গে সরাসরি তাকে জোড়া হয়নি। তার উপর অতিমারির সময়ে যেখান বাজার অত্যন্ত অনিশ্চিত।

Advertisement

সরকারির সূত্রে খবর, করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের জেরে বাজার অনিশ্চিত ছিল বলেই পরিকল্পনা থাকলেও এর আগে কোনও ইটিএফ ভাঙানো হয়নি। কিন্তু চলতি মাসের শুরুতে শ্রম মন্ত্রকের তরফে অর্থ মন্ত্রকের কাছে প্রস্তাব গিয়েছে পিএফের পুরো সুদ একলপ্তে দিয়ে দেওয়ার জন্য। ওই সূত্র জানাচ্ছে, অর্থ মন্ত্রক ক’দিন আগেই সুদ নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছিল। যার উত্তর দিয়েওছে শ্রম মন্ত্রক। ফলে এ বার শীঘ্রই তাদের প্রস্তাবে সম্মতিও দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রটির দাবি, যেহেতু শেয়ার বাজার এই মুহূর্তে চাঙ্গা, তাই এ মাসের শেষেই সব সদস্যের পিএফ অ্যাকাউন্টে একবারে ৮.৫০% সুদ জমা পড়ার ক্ষেত্রে হয়তো আর কোনও বাধা থাকবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement