প্রতীকী ছবি।
কলকাতায় পেট্রলের দাম এখনও ১০০ টাকা হয়নি ঠিকই। তবে আজ সেই দিকে এক ধাপ এগিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে। ২৪ পয়সা বেড়ে আইওসি-র পাম্পে পেট্রল দাঁড়িয়েছে ৯২.১৬ টাকা। ৮৫.৪৫ টাকা ছুঁয়ে নজির দর ডিজেলেও। ২৫ পয়সা বেশি। এ ভাবে নাগাড়ে বাড়তে থাকলে এ রাজ্যেও পেট্রলের ১০০ টাকা হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।
ভোটের ফল ঘোষণার পরেই গত মঙ্গলবার থেকে কলকাতায় পেট্রলের দাম বেড়েছে লিটারে মোট ১.৫৪ টাকা। ডিজেল ১.৮৪ টাকা। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশের কিছু অঞ্চলে পেট্রল ১০০ টাকা পেরিয়েছে আগেই। মঙ্গলবার আরও অনেক শহর ঢুকে পড়েছিল সেই তালিকায়। এই অবস্থায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই কেন্দ্র এবং রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ক্ষোভের আঁচ বেড়েছে। সংক্রমণ এবং মৃত্যু মিছিলের মধ্যে দাঁড়িয়ে একে নির্দয় শোষণ তকমা দিচ্ছেন দেশবাসী। অনেকেরই প্রশ্ন, এই পরিস্থিতিতেও সরকার শুল্ক কমিয়ে সুরাহা দেওয়ার প্রশ্নে চুপ কেন?
এ দিন মোদী সরকারকে তেল নিয়ে ফের বিঁধেছে কংগ্রেস। কেন্দ্র বরাবর চড়া পেট্রল-ডিজেলের জন্য বিশ্ব বাজারে দামি অশোধিত তেলকে দায়ী করে। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, সেই দর প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ব্যারেলে ৬৮ ডলারের আশেপাশে। তা হলে দেশে কেন রোজ চড়ছে জ্বালানি? কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সূরজেওয়ালা উল্টে অশোধিত তেলের দাম কম থাকার সুবিধা দিতে বলেছেন মানুষকে। কারণ তাঁর যুক্তি, ২০১৪ সালে এনডিএ ক্ষমতায় আসার সময় সেই দর ছিল ১০৮ ডলার।
কেন্দ্রীয় মহলের দাবি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে রাজ্যের ভ্যাট দেশে সর্বাধিক। তাই এত দ্রুত ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে পেট্রল। শিল্পের দাবি, তেলের দামের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শুল্ক যোগ হওয়ার পরে তার উপরে ভ্যাট বসে। ফলে এই দুঃসময় দুই-ই কমানো হোক।