—প্রতীকী ছবি।
উৎসবের মরসুম শেষে কমবে পেট্রল ও ডিজ়েলের দাম? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপদেষ্টা তরুণ কপূরের কাছে মিলল তেমনই ইঙ্গিত। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক অপরিশোধিত তেলের উপর ‘উইন্ডফল কর’ কমানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি, ‘ওয়ার্ল্ড বায়োগ্যাস অ্যাসোসিয়েশন ইন্ডিয়া কংগ্রেস ২০২৪’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তৃতা দেন তরুণ কপূর। সেখানে তিনি জানান, ‘উইন্ডফল কর’ প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক।
এর পরই বর্তমান সময়ে ‘উইন্ডফল করের’ খুব একটা প্রাসঙ্গিকতা নেই বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা। কপূরের দাবি, ‘‘অশোধিত তেলের দাম উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। ফলে এই করের আর কোনও প্রাসঙ্গিকতাই থাকছে না।’’
বর্তমানে প্রতি দু’সপ্তাহ অন্তর ‘উইন্ডফল করের’ পরিমাণ ধার্য করে কেন্দ্র। দু’সপ্তাহে অপরিশোধিত তেলের গড় মূল্যের উপর নির্ভর করে এটি ঠিক করা হয়। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। ফলে পূর্ব ইউরোপে শুরু হয় যুদ্ধ। ওই সময়েই পেট্রোপণ্য ‘উইন্ডফল কর’ চালু করেছিল সরকার।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাঁধতেই ক্রুড অয়েলের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করে। ফলে মোটা টাকা মুনাফা করছিল এ দেশের সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। আর তখনই এই কর আরোপ করে কেন্দ্র।
যখন কোনও কোনও সংস্থা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি পরিমাণে লাভ করতে থাকে, তখনই সেই মুনাফার উপর অতিরিক্ত কর চাপাতে পারে সরকার। অর্থনীতির পরিভাষায় একেই বলে উইন্ডফল ট্যাক্স। যা তুলে নিলে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির লাভের অঙ্ক ফের বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে পেট্রল ও ডিজেলের দাম কমানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারে সরকার।
চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে অভ্যন্তরীণ উৎপাদিত অপরিশোধিত তেলের উপর উইন্ডফল ট্যাক্স শূন্যে রাখেছে সরকার। ডিজ়েল ও বিমানের জ্বালানি রফতানির ক্ষেত্রেও একই রকমের ছাড় দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিম এশিয়ায় সাম্প্রতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও অপরিশোধিত তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়ে গিয়েছে। বুধবার, ২৩ অক্টোবর ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ছিল ব্যারেল প্রতি ৭৫.৬৩ ডলার। যা ২২ তারিখের তুলনায় ০.৫৪ শতাংশ সস্তায় বিক্রি হয়েছে।