প্রতীকী ছবি।
পেনশন তহবিল নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (পিএফআরডিএ) তাদের আওতাভুক্ত এনপিএস বা অটল পেনশনের মতো প্রকল্পে লগ্নি টানতে কোমর বেঁধেছে। সে জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ করে সেগুলিকে আকর্ষণীয় করতে চাইছে তারা। তার মধ্যে এক দিকে যেমন আছে শেয়ার বাজারে তহবিলের টাকার খাটানোর সুযোগ বৃদ্ধির প্রস্তাব, তেমনই অন্য দিকে পেনশন ফান্ড থেকে বার তিনেক টাকা তোলার সুবিধা। পিএফআরডিএ-র চেয়ারম্যান সুপ্রতিম বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, চলতি বাদল অধিবেশনেই এ সংক্রান্ত আইনগত বদল হতে পারে।
তবে অনেকেরই প্রশ্ন, শেয়ারে লগ্নির পথ চওড়া করে পেনশন তহবিলকে কি ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে না? ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি কমল পারেখ বলেন, ‘‘অবসরের পর পেনশনই ভরসা বহু মানুষের। চড়া মূল্যবৃদ্ধির জমানায় সেই টাকা শেয়ারে আরও বেশি লগ্নির পথ খোলা মানে বড় ঝুঁকি। লোকসান হলে? বরং এই লগ্নিতে ঝুঁকি কমানো জরুরি।’’
সুপ্রতিমবাবুর দাবি, গত ক’বছর ধরে তহবিলের টাকা শেয়ারে খাটিয়ে বছরে ১১.৩%, কর্পোরেট বন্ডের লগ্নি থেকে ১০.২১% এবং সরকারি ঋণপত্রে লাগিয়ে ৯.৬৯% আয় হয়েছে। দেকো সিকিউরিটিজ়ের ডিরেক্টর আশিস নন্দীর মতে, নানা বিধিনিষেধ থাকাতেই শেয়ারে লগ্নি করে আয় ১১.৩ শতাংশে সীমাবদ্ধ থেকেছে। যেখানে বাজার এত চড়া। এ বার আয় বৃদ্ধির সুযোগ খুলবে। তবে লগ্নিকারীর ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা যাচাই করে বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলিকে ভাগ করা জরুরি।