সাফল্যের খতিয়ান দিল পিয়ারলেস সংস্থা। নিজস্ব চিত্র।
গত এক বছরে কী কী অর্জন করেছে তারা এবং আগামী দিনে কী কী পরিকল্পনা রয়েছে তাদের, তা এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাল পিয়ারলেস সংস্থা। মূলত দু’টি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে সেই বিজ্ঞপ্তিতে। তার মধ্যে একটি হল, গত ১২ মাসে কী কী এবং কোন কোন ক্ষত্রে অগ্রগতি হয়েছে সংস্থার। দ্বিতীয়টি হল, অদূর ভবিষ্যতে কী কী উল্লেখযোগ্য পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
গত এক বছরে সংস্থার অগ্রগতির যে খতিয়ান দিয়েছে পিয়ারলেস, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, দ্য পিয়ারলেস জেনারেল ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি (পিজিএফআই) নন-ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানির লাইসেন্স পেয়েছে। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক এই লাইসেন্স অনুমোদন করেছে পিজিএফআই-কে। বোর্ড পর্যায় বা লিডারশিপের ক্ষেত্রেই হোক, অভিজ্ঞ পেশাদারদের নিয়োগ করেছে এই সংস্থা। শুধু তাই-ই নয়, সংস্থার কত রাজস্ব আয় হয়েছে, কোন কোন ক্ষেত্রে লভ্যাংশ বেড়েছে তারও একটি খতিয়ান দিয়েছে পিয়ারলেস।
সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে, কোভিডের আগে সংস্থার রাজস্বের বার্ষিক বৃদ্ধির হার ছিল ৬ শতাংশ। কিন্তু ২০২৩ অর্থবর্ষে সেই বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ২২ শতাংশে। লভ্যাংশও উল্লেখযোগ্য ভাবে গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। অংশীদারিত্বে যে ব্যবসাগুলি রয়েছে, সেখানেও লভ্যাংশের হার অনেকটাই বেড়েছে গত বছরের তুলনায়। সেই লভ্যাংশের হার ১১৭ শতাংশেরও বেশি। এই প্রথম সংস্থার সব ব্যবসা এক সঙ্গে লাভের মুখ দেখেছে।
২০২৩ অর্থবর্ষে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আয় করেছে এবং লভ্যাংশের দিক থেকেও রেকর্ড তৈরি করেছে পিয়ারলেস হাসপাতাল। কোভি়ড পরবর্তী সময়ে এই সংস্থা সব দিকে থেকেই সাফল্যের মুখ দেখেছে। দ্য পিয়ারলেস জেনারেল ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড দেশের সেরা ২০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তালিকায় স্থান পেয়েছে। পিয়ারলেস হাসপাতালও বহু পুরস্কার জিতেছে। ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র অল ইন্ডিয়া ক্রিটিকাল কেয়ার হসপিটাল র্যাঙ্কিং-এর সমীক্ষা অনুযায়ী পূর্ব ভারত এবং কলকাতার মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালগুলির মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
পিয়ারলেস স্কিল অ্যাকাডেমিতে ১৯ হাজারেরও বেশি পড়ুয়া রয়েছে। দেশের ১০টি কেন্দ্রে ১৩টি সেক্টরে ৫১টি কোর্স করার সুযোগ দিচ্ছে এই অ্যাকাডেমি। দ্য গদাধর অভ্যুদয় প্রকল্পের মাধ্যমে বস্তির ১০০০ শিশুদের মানসিক, শারীরিক এবং মেধার উন্নয়নের উপর কাজ চালানো হচ্ছে।
পিয়ারলেস জানিয়েছে, কলকাতা শহরের সাদার্ন অ্যাভিনিয়ের সৌন্দর্যায়নে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে তারা গাঁটছড়া বেঁধেছে। সার্দান অ্যাভিনিউয়ে দু’টি বুলেভার্ড উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি বুলেভার্ড উৎসর্গ করা হয়েছে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য। সেটি হল ‘শ্রী সুনীল কান্তি রায় প্রবীণ উদ্যান’। অন্যটি হল ‘শ্রী সুনীল কান্তি রায় ক্রীড়া উদ্যান’। এটি তরুণ প্রজন্মকে উৎসর্গ করা হয়েছে।
আগামী দিনে যে সব পরিকল্পনা রয়েছে তারও একটি খতিয়ান দিয়েছে পিয়ারলেস। যে যে বিষয়ের উপর নজর দেওয়া হবে সেগুলি হল—
পিয়ারলেস হাসপাতাল আরও বৃদ্ধির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই বিস্তৃতির কাজ শেষ হলে হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ৪০০ থেকে বাড়িয়ে ৭৫০-৮০০ করা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রয়াত শ্রী এস কে রায়ের স্মরণে একটি অঙ্কোলজি ব্লকও বানানো হবে। সংস্থার হোটেলগুলির উন্নয়নেও একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ১৬তলা বাণিজ্যিক এবং বাসভবনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে রাজারহাটে। যে প্রকল্পের নাম ‘ট্রায়াম’। এই প্রকল্প হবে ৬ লক্ষ বর্গফুট এলাকা জুড়ে।