প্রতীকী ছবি।
ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে কেন্দ্রের দৃষ্টিভঙ্গি কী হতে পারে, তা নিয়ে সদ্য বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও সংসদীয় কমিটি। সেখানে অনেকেরই মতে, নিষেধাজ্ঞা আরোপ না-করে নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা হোক তাকে। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্র এই সংক্রান্ত বিল আনার ভাবছে বলেও খবর। কিন্তু অর্থনীতিতে ডিজিটাল মুদ্রার সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব নিয়ে অনড় রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
তাঁর মতে, বিষয়টি যথেষ্ট ‘গভীর’।
মঙ্গলবার এসবিআই ব্যাঙ্কিং অ্যান্ড ইকনমিক কনক্লেভে শক্তিকান্ত মন্তব্য করেন, শীর্ষ ব্যাঙ্ক যখন এই মুদ্রা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তখন বিষয়টির গভীরতা যথেষ্ট। এ নিয়ে বিশদে কথা জরুরি। তিনি বলেন, ‘‘রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে জাতীয় অর্থনীতি এবং আর্থিক স্থিতিশীলতার উপরে এর (ক্রিপ্টোকারেন্সি) প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তাই এ ব্যাপারে সবিস্তার আলোচনা দরকার।’’
শক্তিকান্ত জানান, করোনার পরে ভারতীয় অর্থনীতি প্রত্যাশার তুলনায় দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বাড়বে বেসরকারি বিনিয়োগ। সেই অনুযায়ী ঋণের জোগান দেওয়ার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে তৈরি থাকতে হবে। এ দিকে মঙ্গলবার কেন্দ্রের আর্থিক পরিষেবা দফতর জানিয়েছে, ‘ঋণের মসৃণ জোগান এবং আর্থিক বৃদ্ধি’র বিষয়ে বুধবার ও বৃহস্পতিবার একটি সম্মেলন হবে। দ্বিতীয় দিনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।