ফাইল চিত্র।
গত বছর করোনার প্রথম ঢেউয়ের পরেই একগুচ্ছ প্রকল্প-সহ সার্বিক ভাবে প্রায় ২০ লক্ষ কোটি টাকার ত্রাণ প্রকল্প আনার কথা সাড়ম্বরে জানিয়েছিল মোদী সরকার। যার আওতায় ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্পের (এমএসএমই) জন্য সুরাহার ব্যবস্থাও ছিল। কিন্তু শিল্প সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এমএসএমই-র উপরে অতিমারির প্রভাব ও তার পুনরুজ্জীবন সংক্রান্ত রিপোর্টে স্পষ্ট জানাল, সেই সব ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, কেন্দ্র রাজকোষ থেকে টাকা না-দিয়ে ব্যাঙ্ক ঋণের ব্যবস্থা করে দায় সারছে। সংসদীয় কমিটিও আপত্তি তুলেছে ঋণের প্রশ্নে। রিপোর্টে বলেছে, দ্রুত চাহিদা বাড়াতে যখন নগদ জোগানো জরুরি, তখন সরকার ঋণ নির্ভর দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ করেছে। বিপর্যস্ত ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলি আশানুরূপ সাহায্য পায়নি বলেও কার্যত কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলেছে তারা।
কমিটির মতে, অতিমারিতে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। অসংখ্য পরিবারের আয় ধাক্কা খেয়েছে। কোভিডের প্রথম হানার পরে দ্বিতীয় ঢেউয়ে আরও বেশি বিধ্বস্ত হয়েছে ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলি। অথচ এমএসএমই মন্ত্রকের থেকে লিখিত জবাবে কমিটি জেনেছে, তারা এই শিল্পের ক্ষতি বুঝতে কোনও পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষাই করেনি।
রিপোর্টে সুপারিশ, বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলিকে বেরনোর পথ করে দিতে যে সব সমস্যা সংসদীয় কমিটির পর্যবেক্ষণে ধরা পড়েছে, তার প্রতিটি ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করুক কেন্দ্র। নিশ্চিত করুক, শুধু বড় নয়, ছোট সংস্থাগুলিও যেন সরকারি সুবিধা একেবারে গোড়া থেকে ঠিক মতো পায়। সে জন্য উপযুক্ত নীতি তৈরি হোক। কর্মসংস্থান বাড়াতে এবং অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনে অবিলম্বে বড় আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণাও হোক।
কেন্দ্রের অবশ্য দাবি ছিল, সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত ঋণের মতো ত্রাণের সুবিধা নিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে এমএসএমই। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে তাদের বকেয়া মেটাতে বলেও পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। তবে সে সবও কার্যত নস্যাৎ কমিটির পর্যবেক্ষণে। তাদের মতে, গ্যারান্টিযুক্ত ঋণ পেয়েছে মাত্র ৫০% এমএসএমই। ব্যাঙ্কগুলি সব সময় তাদের ধার দিতে চায় না।