Jute Mill

নগদের অভাবে নাভিশ্বাস চটশিল্পের

গত বছর ঠিক আজকের দিনেই রাজ্যে ধেয়ে এসেছিল ঘূর্ণিঝড় আমপান। যার জেরে পাটের উৎপাদন প্রায় ৪০% মার খায়

Advertisement

প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২১ ০৫:৫০
Share:

ফাইল চিত্র।

একেই কাঁচা পাটের অভাবে একের পর এক চটকলে তালা ঝুলছে। গত তিন মাসে চটশিল্পে কাজ হারিয়েছেন প্রায় ৫২,০০০ কর্মী। বুধবার চটকল মালিকদের অভিযোগ, এমন অবস্থার মধ্যে দাঁড়িয়ে বস্তা বিক্রি বাবদ যে টাকা পাওয়ার কথা ছিল, তা আটকে গিয়েছে রাজ্যে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধের জেরে। ফলে উৎপাদন চালানোর অর্থে টান পড়েছে অনেকেরই। রাজ্যে এমনিতেই গত প্রায় তিন মাসে ১৫টি চটকল বন্ধ হয়েছে। মঙ্গল ও বুধ, পর পর দু’দিনেই ঝাঁপ পড়েছে দু’টির। টিটাগড়ের এম্পায়ার জুটমিল ও হাওড়ার মহাদেও জুটমিল। শুধু ওই দু’টিতেই কাজ করতেন প্রায় ৫০০০ জন। শিল্পের আশঙ্কা, কাঁচামাল ও টাকার অভাব যে জায়গায় যাচ্ছে, তাতে শীঘ্রই আরও কিছু মিল বন্ধ হতে পারে।

Advertisement

গত বছর ঠিক আজকের দিনেই রাজ্যে ধেয়ে এসেছিল ঘূর্ণিঝড় আমপান। যার জেরে পাটের উৎপাদন প্রায় ৪০% মার খায়। শিল্পের দাবি, এ বার কাঁচামালের অভাবে এমনিতেই বহু চটকল উৎপাদন থামাতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ আকাশছোঁয়া দামে পাট কেনা অনেকের পক্ষেই অসম্ভব। এমন অবস্থায় রাজ্যে সংক্রমণ রুখতে যে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে, তার আওতায় জুট কমিশনারের দফতর বন্ধ। তাদের প্রশ্ন, পাট অত্যাবশ্যক পণ্য ও চটকলগুলিও খোলা, সেখানে সেগুলির নিয়ন্ত্রকের দফতর কী করে বন্ধ থাকে? চটকল মালিকদের আক্ষেপ, বস্তা সরবরাহ করা হয়েছে কষ্ট করে। কিন্তু ওই দফতর বন্ধ থাকায় দাম পাচ্ছে না চটকলগুলি। নগদের অভাবে নাভিশ্বাস ওঠায় যে টাকা অনেকেরই দ্রুত হাতে আসা দরকার।

চটের বস্তার দাম মেটাতে দফতর খোলার অনুমতি চেয়ে জুট কমিশনার মলয় চন্দন চক্রবর্তী ইতিমধ্যেই রাজ্যের কাছে আবেদন করেছেন। বস্ত্র মন্ত্রকের সচিবও সেই আর্জি জানিয়ে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে। মলয়বাবুও বলেন, ‘‘পাট অত্যাবশ্যক পণ্য হলেও জুট কমিশনারের দফতর অত্যাবশ্যক পরিষেবার আওতায় নেই। তাই চটকলগুলি খোলা রাখার সায় পেলেও আমাদের দফতর ছাড় পায়নি।’’

Advertisement

চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ-র চেয়ারম্যান রাঘবেন্দ্র গুপ্ত জানান, ‘‘সংক্রমণ যুঝতে জারি একগুচ্ছ বিধিনিষেধের ফলে রাজ্যে আরও বেশ কিছু সমস্যার মুখে পড়েছে চটকলগুলি। যেমন, বস্তা সরবরাহ করার সময় রাজ্যের অনেক জেলাতেই ট্রাক আটক করছে পুলিশ। তা ছাড়া, উৎপাদন নির্বিঘ্নে চালাতে বহু মিলে যন্ত্র নিয়ম করে পাল্টাতে হয়। পুরনো মেশিন চালু রাখতে লাগে বিশেষ ধরনের লুব্রিক্যান্ট। ওই তেল এবং যন্ত্রপাতির সিংহভাগই তৈরি হয় ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থায়। যেগুলি এখন বন্ধ। এটাও উৎপাদন চালানোর পথে বাধা।’’ রাঘবেন্দ্র বলেন, সব বিষয় জানিয়ে রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement