শ্রাচি দাক্ষিণাত্য
শহর চলেছে শহরের মতো। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়েছে শহর। পিচগলা রাস্তায় মহিনের রডোডেনড্রনের সঙ্গী হয়ে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে সুউচ্চ ইমারতের সারি। মহানগরীর এই আধুনিক বিল্ডিং বা বসবাসের জন্য নজরকাড়া স্থাপত্য তৈরির নেপথ্যে যে রিয়েলটি গ্রুপগুলির অবদান রয়েছে, শ্রাচি গ্রুপ তাদের মধ্যে অন্যতম।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুরনো জীবনের খোলনলচে বদলে আধুনিক জীবনযাপনের আদব-কায়দায় মেতেছে শহর। যাপনে জুড়েছে বিলাসিতার পরত। বদল এসেছে বাসস্থানে। রোজনামচার সেই বদলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখনও পর্যন্ত শ্রাচি শহরকে উপহার দিয়েছে একের পর এক বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট এবং বাণিজ্যিক পরিকাঠামো। যেগুলি দেখে নিঃসন্দেহে বলা যায় শ্রাচির তৈরি প্রত্যেকটি প্রকল্প শুধু বাংলা নয়, গোটা পূর্ব ভারতে এক একটি ল্যান্ডমার্ক প্রকল্প। এর মধ্যে রয়েছে সিনথেসিস বিজনেস পার্ক, গ্রিনউড সোনাটা, গ্রিনউড পার্ক এক্সটেনশন, ব্লক বাই ব্লক, রোজডেল গার্ডেন কমপ্লেক্স সহ আরও কত কী! যৌথভাবে তৈরি প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে আমাদের প্রিয় সাউথ সিটি, শহরের অন্যতম বড় কমপ্লেক্স আরবানা, এবং গ্লোবসিন ক্রিস্টালস।
তবে এখানেই শেষ নয়। বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথারিটির সঙ্গে যৌথভাবে বর্ধমান শহরের রেনেসাঁ টাউনশিপ তৈরি করেছে শ্রাচি। যা এক লহমায় বদলে দিয়েছে জীবনযাত্রার সংজ্ঞা। ন্যাশনাল হাইওয়ে ২-র গা ঘেঁষেই তৈরি এই টাউনশিপে কি নেই! যেন শহরের মধ্যেই আস্ত একটা শহর। বিলাসপ্রিয় বাঙালির জন্য বাংলো, প্লট, ফ্ল্যাট তো রয়েছেই। তা ছাড়াও রয়েছে হাসপাতাল, স্কুল, বাজার, শপিং মল ইত্যাদি। শরতের নীল আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ আর চোখের সামনে সারি সারি কাশ ফুল - সব মিলিয়ে সেজে উঠছে এই টাউনশিপ।
আর শুধুই কি থাকার জায়গা? দক্ষিণ বাংলার রিটেইল সেক্টর তথা বাণিজ্যিক পরিকাঠামোর খোলনলচে বদলে দিয়েছে শ্রাচির হাতে তৈরি জংশন মল। দুর্গাপুরের এই জংশন মলে রয়েছে ২০০-রও বেশি ব্র্যান্ডের দোকান। যার ফলে বদলে গিয়েছে সেখানকার মানুষের কেনাকাটার ধরন, বিনোদুনিয়া, অবসরের অভিজ্ঞতা সমস্ত কিছুই।
সর্বোপরি প্রযুক্তি, নকশা, কারুকার্য, কলা এবং নান্দনিকতার মেল বন্ধনে তৈরি শ্রাচির প্রতিটি প্রকল্পই বার বার ল্যন্ডমার্ক হিসেবে গণ্য হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, শ্রাচি গ্রুপ ইতিমধ্যেই ২০ মিলিয়ন স্কোয়ার ফুটের প্রজেক্ট সরবরাহ করেছে।
আর শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, বাংলার পাশাপাশি ঝাড়খন্ডেও নিজেদের কর্মকান্ড বহাল রেখেছে শ্রাচি গ্রুপ। দেশ পেরিয়ে বিদেশেও বেশ সুনাম রয়েছে তাদের। বেশ কিছুদিন আগেই প্রতিবেশি দেশ শ্রীলঙ্কাতেও তারা যৌথভাবে একটি প্রকল্পের কাজে হাত দিয়েছে।
এত কিছুর পাশাপাশি ভারতের রিয়েলটি সেক্টরের অন্যতম সেরা এই গ্রুপ শহরকে উপহার দিচ্ছে আরও এক নজরকাড়া আবাসন প্রকল্প। ফুলতলা বারুইপুরে তৈরি হচ্ছে দাক্ষিণাত্য। প্রকল্পের ট্যাগলাইনেই লেখা, ‘দখিনা বাতাসে মেতেছে বাঙালি’। এখানে দক্ষিণ কলকাতার বিলাসিতার ছোঁয়া তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে রয়েছে সবুজে ঘেরা সুন্দর পরিবেশ। বর্তমান সময়ে ইঁট-কাঠ-কংক্রিটের জঙ্গল থেকে যা অবশ্যই স্বস্তি দেবে এখানকার বাসিন্দাদের।
প্রকৃতির মাঝে তৈরি হওয়া এখানকার প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টে রয়েছে স্নিগ্ধতার ছোঁয়া। ভোরের মৃদু রোদ আর সন্ধের মায়াবি আলোর স্পর্শে জীবন যেন আরও বেশি প্রাণোচ্ছ্বল হয়ে ওঠে এখানে। রোজকার কাজের চাপের ভিড়ে যা শুধু আরামদায়কই নয়, রঙিনও বটে!
আধুনিক, বিলাসবহুল এবং বিশ্বমানের জীবনযাপন বলতে যা বোঝায়, তার সমস্ত কিছুই রয়েছে শ্রাচির এই প্রকল্পে। শুধু তাই নয়, প্রকল্পের অন্তবর্তী সুবিধাগুলি ছাড়াও এখানকার লোকেশনও দারুন। বারুইপুর স্টেশন থেকে মাত্র খানিকের দুরত্বে অবস্থিত দাক্ষিণাত্য। সামনেই বাস টার্মিনাস। আর কিছুটা এগোলেই বাইপাস।
এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এখানকার ফ্ল্যাটগুলির দাম কিন্তু আকাশছোঁয়া নয়। বরং সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে এর দাম। ২ বেডরুম অ্যাপার্টমেন্টের দাম শুরু হচ্ছে মাত্র ২০ লক্ষ টাকা থেকে।
এক নজরে দেখে নিন জীবনযাপনে কী কী সুবিধা পাচ্ছেন এখানে -
প্রকল্পের কাছাকাছি কী কী রয়েছে?
তা হলে আর দেরি কেন? আজই নিজের স্বপ্নের ফ্ল্যাট বুক করুন শ্রাচির দাক্ষিণাত্যে। বিশদে জানতে ক্লিক করুন।