ছবি: সংগৃহীত।
উৎসবের মরসুমের কাঁধে ভর দিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যে অনেকটা ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছে অতিমারির জেরে ধাক্কা খাওয়া হিরের গয়না শিল্প। যদিও পারস্পরিক দূরত্ব বিধি এবং পরিবহণ সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে তাদের। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এর ফলে গয়না কারখানায় উৎপাদনে আগের গতি আনা সম্ভব হচ্ছে না।
গয়না রফতানি উন্নয়ন পরিষদের পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান প্রকাশ পিনচা বলেন, ‘‘যাঁদের কেনাকাটার ক্ষমতা আছে তাঁরা উৎসবের মরসুমে বাজারে পা রাখবেন বলেই আমাদের আশা। লকডাউনের সময়ে বাতিল হওয়া বিয়ের অনুষ্ঠানগুলি ফের শুরু হলেও গয়নার চাহিদা বাড়বে।’’ তিনি জানান, হিরে রফতানির বরাতও ফের আসতে শুরু করেছে। খনি থেকে হিরে উত্তোলনকারী সংস্থা ডে বেয়ার্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সচিন জৈনের আশা, চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিকের মধ্যে ব্যবসার পরিমাণ করোনার আগের ৮০ শতাংশে পৌঁছে যাবে।
তবে চাহিদা কিছুটা বাড়লেও শিল্পের মূল উদ্বেগ এখন জোগান নিয়ে। জৈনের বক্তব্য, পরিবহণ ব্যবস্থা পুরোপুরি স্বাভাবিক না-হওয়ায় এবং দূরত্ব বিধি মানতে গিয়ে কারখানায় পুরোদমে উৎপাদন হচ্ছে না। পিনচার অবশ্য যুক্তি, ব্যবসায়ীদের কাছে কিছু গয়না আগে থেকে মজুত রয়েছে। তা দিয়ে কিছু দিন পরিস্থিতি সামলানো যাবে।